হোম জাতীয় ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনা: দুই সন্তানসহ আহত মা-বাবা ঢামেকে

জাতীয় ডেস্ক:

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে ৪ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাদের অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। তারা হলো: সোয়াদ (৮), তার বোন তন্নীমা (১২), মা খাদিজা বেগম (৩৫) ও বাবা জীবন (৪০)।

আহতরা জানান, তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের সদর উপজেলার মাটিয়া গ্রামে। তবে গার্মেন্টস কর্মী খাদিজা থাকেন নারায়ণগঞ্জের ভুলতা গাউছিয়ায়। গ্রাম থেকে তারা ৪ জন ট্রেনে করে নরসিংদী যাচ্ছিলেন। সেখান থেকেই গাউছিয়ায় যেতে চেয়েছিলেন। ভৈরব স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়ার পরপরই দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।

ঢামেক জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, এখন পর্যন্ত আহত ৪ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে শিশু সোয়াদের মাথায় আঘাত রয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর। বাকি ৩ জন সামান্য আহত। তবে তাদের সবাইকেই জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা এগারোসিন্ধুর গোধূলি ট্রেনের সঙ্গে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলিম হোসেন শিকদার জানান, ঢাকা থেকে একটি কন্টেইনারবাহী ট্রেন ভৈরব স্টেশনে ঢুকছিল। তার আগ মুহূর্তে ভৈরব থেকে এগারসিন্দুর ট্রেন ঢাকার দিকে রওনা হয়েছিল। জগন্নাথপুর রেল ক্রসিং এলাকায় এগারসিন্দুর ট্রেনের শেষের দুই-তিনটি বগিতে কন্টেইনারবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন আঘাত করে। মূলত সিগনালের কোনো জটিলতার কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার (এসপি) মো. রাসেল শেখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এদিকে ট্রেন দুর্ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আফছার উদ্দিন জানান, উদ্ধার কাজের জন্য রিলিফ ট্রেন রওনা হয়েছে। উদ্ধার কাজ শেষ হলে তারপর ট্রেন চলাচল শুরু হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন