আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জি৭ বা গ্রুপ অব সেভেন-ভুক্ত প্রধান শিল্পোন্নত দেশগুলো ভারত ও পাকিস্তানকে সরাসরি সংলাপে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছানোর পর শুক্রবার (৯ মে) এই আহ্বান জানানো হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো কয়েক দশকের পুরোনো ভারত-পাকিস্তান বৈরিতার নতুন মাত্রায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বুধবার ভারত পাকিস্তানে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এরপর থেকে প্রতিদিনই উভয় দেশ সংঘাতে লিপ্ত। এতে এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
জি৭-এর দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করেছে এবং তাদেরকে উত্তেজনা হ্রাসের আহ্বান জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ভারতের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ২২ এপ্রিলের ইসলামপন্থি জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনার ‘তীব্রভাবে নিন্দা’ জানান। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে। তবে পাকিস্তান অভিযোগ অস্বীকার করে একটি নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
জি৭ এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা তাৎক্ষণিক উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানাই এবং উভয় দেশকে শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে সরাসরি সংলাপে অংশ নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করি।’
এরই মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং পাকিস্তান সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের মধ্যে ফোনালাপের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানায়, ভবিষ্যৎ সংঘর্ষ এড়াতে গঠনমূলক আলোচনা শুরু করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
রুবিও এপ্রিলের শেষ দিক থেকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সপ্তাহের শুরুর দিকে বলেন, দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার বৃদ্ধি ‘দুঃখজনক’।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবেলায় ভারতকে পশ্চিমা দেশগুলো একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হলেও ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর থেকে তার গুরুত্ব কমেছে।