জাতীয় ডেস্ক:
ভারত থেকে অভিনব কায়দায় বিদেশি মদের চালান ঢুকছে দেশে। পোশাকসামগ্রী এবং কসমেটিকসের আড়ালে সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ঢাকা এনে মজুদ করা হয় নিম্নমানের বিদেশি মদ। এরপর চাহিদা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন এলাকায় তা সরবরাহ করা হয়।
এ ঘটনায় গত ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫২ বোতল মদসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। এরমধ্যে দুইজন ভারতীয় নাগরিকও রয়েছেন। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন: ভারতীয় নাগরিক রিয়াজউদ্দিন, সানোয়ার এবং বাংলাদেশি আমির আলী।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর জানায়, দেশি ও ভারতীয় একটি সিন্ডিকেট এসব বিদেশি মদ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। আর গ্রেফতার দুই ভারতীয় নাগরিকের পাসপোর্ট জব্দ করে দেখা যায়, তারা প্রতি সপ্তাহে একবার করে বাংলাদেশে আসতেন। আসার সময় তারা সঙ্গে করে মদের চালান নিয়ে আসতেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে দুই দেশের বেশ কয়েকজন জড়িত। তারা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে, চোরাইপথে নিম্নমানের বিদেশি মদ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে নিয়ে এসে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে বলে আমাদের কাছে তথ্য ছিলো। সেই তথ্যের ভিত্তিতে ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভারতীয় নাগরিকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় ৫২ বোতল মদ জব্দ করা হয়।
এর আগে একই ঘটনায় চলতি বছরের ২৫ মে রাজধানীর বনানীর কড়াইল বস্তি থেকে মনির হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে ৫৬ বোতল বিদেশি মদসহ গ্রেফতার করেছিল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।
গ্রেফতার মনিরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় একটি সিন্ডিকেটের সঙ্গে আঁতাত করে দেশি একটি চক্র। তারা অবৈধ উপায়ে নিম্নমানের বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের লেবেল লাগানো মদ ঢাকায় এনে মজুদ করে। এরপর চাহিদা অনুযায়ী ঢাকার বিভিন্ন পার্টিতে কম দামে সরবরাহ করে।
মেহেদী হাসান বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে বেশ কয়েকজন ভারতীয় নাগরিকও জড়িত। তারা ফ্রিকোয়েন্টলি ট্রাভেল (প্রায়সই ভ্রমণ) করত। প্রতি সপ্তাহে তারা দুই থেকে তিনবার পোশাকসামগ্রী এবং কসমেটিকস এর সঙ্গে অবৈধ বিদেশি মদ সরবরাহ করত।’
এছাড়া চক্রটির আরও কয়েকজনকে শনাক্ত করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। তাদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এ কর্মকর্তা।