সংকল্প ডেক্সঃ ভোমরা স্থল বন্দরের বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা কাস্টমস্ শুল্ক স্টেশনের পার্শ্ববর্তী বেসরকারি পার্কিংগুলোতে সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি অব্যাহত রয়েছে। ফলে বাংলাদেশী আমদানিকারকরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। এমনকি আমদানিজাত পন্যের মূল্য ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধিপাচ্ছে। যার ফলে , দেশের অন্যান্য বন্দরের তুলনায় ভোমরা বন্দরের আমদানি ব্যায় বৃদ্ধি পাওয়া আমদানিকারকরা এ বন্দর ত্যাগ করতে শুরু করছে । বিষয়টি ভারতের ঘোজাডাঙ্গা সি এন্ড এফ এজেন্ট (ই) কার্গো ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনকে লিখিত ও মৌখিক ভাবে অবহিত করা হলেও তাদের পক্ষ থেকে সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের কোনো উদ্যোগ গ্রহন করেনি। যার কারনে এই চাদাবাজি বন্ধের দাবিতে আগামি ২৯ জানুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মসুচি ঘোষনা করেছে ভোমরা সি এন্ড এফ এজেন্ট এসোসিয়েশন । ওই দিন ২ ঘন্টা কর্মবিরতি ও মানব বন্ধন কর্মসুচি ঘোষনা করা হয়। ৩০ শে জানুয়ারি ৩ ঘন্টা, ৩১ জানুয়ারি ৪ ঘন্টা কর্মবিরতি ও ১লা ফেব্রুয়ারি লাগাতার কর্মবিরতি ও মানববন্ধন কর্মসুচি ঘোষনা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আমদানিজাত পন্যের প্রকারভেদে ট্রাক প্রতি ২৫,০০০/- থেকে ৩০,০০০ টাকা সিরিয়ালের নামে চাদাবাজি করা হচ্ছে।
তা না হলে আমদানিজাত পন্যবাহী ট্রাকগুলোকে ঘোজাডাঙ্গা বেসরকারী পার্কি ইয়ার্ডে ৩০ দিন থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত আটকে রাখা হচ্ছে। আর চাঁদা দিলে দিনের দিন অথবা একদিন পর উল্লেখিত পণ্যবাহী ট্রাকগুলো বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানিকারকগণ, সি এন্ড এফ কর্মচারী এসোসিয়েশন , শ্রমিক ইউনিয়নসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের আহবায়ক কমিটি’র উদ্যোগে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন সংগঠনের মতামতের ভিত্তিতে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার লক্ষে সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য বাস্তমুখী সিন্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।