আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
উত্তরপূর্ব ভারতের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে ৬২৩ জন রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বলদা, দামগিরি, তিনালী এলাকা থেকে সাত বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়। এরা কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন আমির আলী (৩৫), মীর জাহান (৪৫), বিপ্লব মিয়া (৩৫), আঙ্গুর হোসেন (২০), চাঁদ মিয়া (৩২), রাসেল মিয়া (৩২) ও এমডি বকুল মিয়া (৩৫)।
পূর্ব খাসি পার্বত্য জেলার ডাউকি এলাকায় পৃথক এক অভিযানে আরও সাতজনকে গ্রেফতার করেছে বিএসএফের চার নম্বর ব্যাটালিয়ন। তাদের মধ্যে তিনজন ভারতীয় ও চারজন বাংলাদেশি নাগরিক।
হেফাজতে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে তিন ভারতীয় হলেন সুনা লিঙ্গদোহ (২২), শঙ্খর সাহা (৪৬) ও রনবীর সাহা (৯)। আর কৌসাল্লা তালুকদার (৩৩), রয়েল তালুকদার (১৭), রনি লামিন (৩৪) ও শোরবিন্দু বিশ্বাস (৩৭) বাংলাদেশি বলে শনাক্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, আটককৃত ব্যক্তিরা কাজের সন্ধানে আসাম যাওয়ার উদ্দেশ্যে সীমান্ত পাড়ি দিয়েছিলেন।
এদিকে, ত্রিপুরায় তিন রোহিঙ্গা ও এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেপ্তার করেছে বিএসএফ।
নিরাপত্তা বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৮ নভেম্বর আনুমানিক দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিপাহীজলা থেকে এক বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়। ওই ব্যক্তি বাড়ি বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায়।
বিএসএফ আরও জানিয়েছে, পানিসাগর সেক্টরে এক অভিযানে সীমান্ত বাহিনীর টহলকারী দল তিনজন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে দুইজন পুরুষ ও একজন মহিলা।
এছাড়া, ৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় ত্রিপুরার জিরানিয়া রেলওয়ে স্টেশনে ছয়জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করেছে সরকারি রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি)। তাদের মধ্যে তিনজন ছিলেন ট্রান্সজেন্ডার।
জিআরপি অফিসার ইনচার্জ তাপস দাস বলেছেন, জিরানিয়া রেলওয়ে স্টেশন দিয়ে কয়েকজন অনুপ্রবেশকারী পালিয়ে যেতে পারে বলে আমাদের কাছে খবর আসে। এ তথ্য পাওয়ার পর আমরা স্টেশনে যাই। সেখানে ছয়জন ব্যক্তি ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। পরে তাদেরকে হেফাজতে নেওয়া হয়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে চারজন কিশোরগঞ্জের ও দুজন নোয়াখালীর অধিবাসী।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ব্যক্তিরা নিজেদের ভারতের বিশালগড়ের বাসিন্দা বলে দাবি করেছিল। পরে নিজেদের বাংলাদেশি নাগরিক বলে স্বীকার করে। আটককৃতরা জানিয়েছে, তাদের মুম্বাই যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। সে উদ্দেশ্যে ৬ অক্টোবর ত্রিপুরায় পৌঁছায়।