আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চীনা জাহাজ নোঙর করতে দেয়ায় বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। তাকে সতর্ক করেছে দেশটির প্রধান দুটি বিরোধী দল। তাদের দাবি, ভারতবিরোধী ও চীনপন্থি অবস্থানের কারণে দেশটির অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়তে পারে।
ভারত বিরোধী অবস্থান নিয়েই মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মোহাম্মদ মুইজ্জু। নির্বাচিত হয়েই প্রথম বিদেশ সফরে চীনে যান তিনি। এরপর সেখান থেকে ফিরেই মালদ্বীপে অবস্থান করা ভারতীয় সেনাদের নিজ দেশে চলে যেতে বলেন তিনি। এমনকি নয়াদিল্লিকে সময়সীমাও বেঁধে দেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট।
ইস্যুটি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চলছে উত্তেজনা। এরমধ্যেই সেই আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে মালদ্বীপের মন্ত্রীদের কটাক্ষ এবং সবশেষ বেইজিংয়ের জাহাজ মালের দিকে অগ্রসরের খবর।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বর্তমানে ভারতজুড়ে চলছে মালদ্বীপ বয়কটের স্লোগান। প্রতিবছর দেশটি থেকে সবচেয়ে বেশি পর্যটক ঘুরতে যান মালেতে। আর তাই এই বয়কটের ডাক মালদ্বীপের পর্যটন খাতে ধস নামতে পারে বলে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সেই আশঙ্কা জোরালোর দাবি করেছে মালদ্বীপের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। এক বিবৃতিতে সতর্কবার্তা দিয়েছে মালদ্বীভিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এমডিপি ও ডেমোক্র্যাট পার্টি। তাদের দাবি, চীনা জাহাজ মালেতে নোঙর করতে দেয়ার অনুমতিতে হিতে বিপরীত হতে পারে। সরকারের ভারতবিরোধী অবস্থানের কারণে উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে দ্বীপরাষ্ট্রটির।
একইসঙ্গে, ভারতকে দীর্ঘদিনের মিত্র দাবি করে দলগুলো সব উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে সরকারকে কাজ করার আহ্বান জানান। এমনকি মালদ্বীপের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য ভারত মহাসাগরকে স্থিতিশীল এবং নিরাপদ রাখা প্রয়োজন বলেও মত তাদের।
এদিকে, মালদ্বীপে চীনা নজরদারি জাহাজের খবরে বেশ উদ্বিগ্ন ভারত। জাহাজটির গতিবিধি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে নয়াদিল্লি। আগামী মাসের শুরুতে মালেতে নোঙর করবে জাহাজটি। যদিও মালদ্বীপের দাবি এটা কোনো নজরদারি জাহাজ নয়, ভারত মহাসাগরে গবেষণা চালাতেই আসছে জাহাজটি।