আক্তারুজ্জামান বাচ্চু :
সাতক্ষীরার দুই শতাধিক দিনমজুর ভারতের তামিলনাড়ু–তে আটকে পড়েছেন। খেটে খাওয়া এসব শ্রমিকদের জীবন বিপন্ন। রয়েছেন অনাহারে-অর্ধাহারে। করোনায় ভারত জুড়ে লকডাউনে তারা কাজ হারিয়েছেন। অসহায় এসব বাংলাদেশিরা নিজ দেশে ফিরতে চান। আটকেপড়া এসব দিনমজুরদের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন গ্রামে। তবে, এরমধ্যে সবচাইতে বেশি সংখ্যক দিনমজুরের বাড়ি কালিগঞ্জ উপজেলায়।
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর গ্রামের আবুবক্করের ছেলে আমিনুর রহমানসহ কয়েকজন সোমবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে জানান, তামিলনাড়ু– থানার পেরেন্দুরা এলাকায় ছোট একটি ঘরে তারা দুই শতাধিক বাংলাদেশি আটকে রয়েছেন। লকডাউন চলায় পুলিশ কোনোভাবেই তাদের বাইরে বের হতে দিচ্ছে না। সেখানকার প্রশাসন ভারতীয় নাগরিক ছাড়া অন্যদের কোনো রকম ত্রাণ সামগ্রী দিচ্ছে না।
কেবলমাত্র যাদের ভারতীয় আধারকার্ড রয়েছে তারাই ত্রাণ সামগ্রী পাচ্ছেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তারা বলেন, ভীষণ অসহায় হয়ে পড়েছি। বৈধভাবে ভারতে আসলেও অনেকের পাসপোর্টের ভিসার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। দুঃচিন্তায় অনাহারে-অর্ধাহারে রয়েছেন সবাই। বর্তমানে পেরেন্দুয়ার পানিকাম পালিয়াম ময়লাখোলা নামক স্থানে রবিন নামের এক বাড়িয়ালার আশ্রয়ে তারা রয়েছেন। তারা সবাই নিজ জেলা সাতক্ষীরাতে ফিরতে চান। দেশে ফেরার বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন এসব আটকেপড়া দিনমজুররা।
তামিলনাড়ু–তে আটকেপড়া দিনমজুরদের মধ্যে কয়েকজনের নাম ও ঠিকানা সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার পাইকাড়া গ্রামের ঈমান আলীর ছেলে আব্দুস সালাম, পূর্ব নলতা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মামুন, পাইকাড়া গ্রামের নেছার আলি সরদারের মেয়ে ঝর্ণা খাতুন, একই গ্রামের মান্দার গাজীর ছেলে আব্দুল গফুর গাজী, গোলাম বারির ছেলে শরিফুল ইসলাম পাড়, আব্দুল কাদেরের মেয়ে হামিদা বেগম, আব্দুর রবের ছেলে আরিফুল ইসলাম পাড়, মান্দার গাজীর মেয়ে রেশমা খাতুন প্রমুখ।