হোম আন্তর্জাতিক ব্রাজিলে শুরু ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন, অনুপস্থিত পুতিন ও শি জিনপিং

ব্রাজিলে শুরু ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন, অনুপস্থিত পুতিন ও শি জিনপিং

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 12 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে শুরু হয়েছে ব্রিকস জোটের দুই দিনব্যাপী শীর্ষ সম্মেলন। তবে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবারের সম্মেলনে অনুপস্থিত রয়েছেন। সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে যাচ্ছে এই জোট। একক আধিপত্যের বিপরীতে বহুপাক্ষিকতার পক্ষে অবস্থান নেওয়ার বার্তাও দিচ্ছেন নেতারা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

২০১২ সালে ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম কোনও ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন না চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তার পরিবর্তে প্রতিনিধিত্ব করছেন প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। আর পুতিনের অনুপস্থিতির কারণ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেফতারি পরোয়ানা। ইউক্রেনে আগ্রাসনের দায়ে পুতিনের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি হয় ২০২২ সালে। ব্রাজিল রোম সংবিধির সদস্য দেশ হওয়ায় আইনি বাধ্যবাধকতার মুখে পড়তে হতো।

ব্রাজিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ও মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি।

সম্মেলনের মূল আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বৈশ্বিক স্বাস্থ্যনীতি ও জলবায়ু পরিবর্তন। ব্রিকস নেতারা অভিযোগ করছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্যনীতি অবৈধ এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিকে হুমকির মুখে ফেলছে।

২০০৯ সালে ব্রিকস প্রথম সম্মেলনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে। এর সদস্য দেশগুলো ছিলো—ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সম্প্রতি জোটে যোগ দিয়েছে মিসর, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। গত বছর ‘কৌশলগত অংশীদার’ নামের একটি নতুন স্তর চালু করে জোট, যাতে বেলারুশ, কিউবা ও ভিয়েতনামের মতো দেশগুলো যুক্ত হয়েছে।

এই সম্প্রসারিত ব্রিকস এখন বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যার প্রতিনিধিত্ব করে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির এক-চতুর্থাংশের সমান উৎপাদনে ভূমিকা রাখে। তারা নিজেদের ‘গ্লোবাল সাউথ’ অর্থাৎ উন্নয়নশীল বিশ্বের একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে তুলে ধরছে। এর লক্ষ্য পশ্চিমা জোট জি সেভেন-এর একচেটিয়া আধিপত্য মোকাবিলা করা।

তবে বাইরে থেকে ঐক্যপূর্ণ দেখা গেলেও ভিতরে রয়েছে মতপার্থক্য। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে দেওয়া এক সূত্রের বরাতে জানা গেছে, কয়েকটি সদস্য দেশ গাজায় ইসরায়েলের হামলা এবং ইরানে সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে ব্রিকসের পক্ষ থেকে আরও কড়া অবস্থানের দাবি জানিয়েছে। ওই সূত্র পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এ তথ্য জানান।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন