খেলার সংলাপ :
৩৯৪ রানের কঠিন লক্ষ্য। জিততে হলে পাড়ি দিতে হতো কঠিন পথ। এমনকি ড্র করতে হলেও দুদিন উইকেটে মাটি কামড়ে পড়ে থাকতেই হতো নিউজিল্যান্ডকে। কিন্তু কোনোটাই পারল না কিউইরা। নিজেদের মাঠে বরং স্ট্রুয়ার্ড ব্রড ও জেমস অ্যান্ডারসনের গতির আগুনে জ্বলে পুড়ে গেল নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ। টেস্টের চারদিনেই অলআউট হয়ে ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হার দেখল টিম সাউদির দল।
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে ২৬৭ রানে উড়িয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড। এই জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড। সিরিজের শেষ টেস্ট ওয়েলিংটনে শুরু হবে আগামী শুক্রবার থেকে।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর কিউইদের মাটিতে জয়ের মুখ দেখল ইংল্যান্ড। এর আগে সবশেষ ২০০৮ সালের মার্চে নেপিয়ারে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিল মাইকেল ভনের ইংল্যান্ড।
টেস্টের চতুর্থ দিন আজ রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) হারের মুখে থেকেই দিন শুরু করে নিউজিল্যান্ড। ৫ উইকেটে ৬৩ রান নিয়ে মাঠে নামে তারা। কিন্তু ইংলিশ বোলারদের সামনে বাকিউইকেটগুলো নিয়ে টিকে থাকতে পারেনি নিউজিল্যান্ড।
টেস্টের চতুর্থ দিন প্রথম সেশনেই মাত্র ১২৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। বল হাতে নিউজিল্যান্ডকে থামানোর দুই নায়ক হলেন অ্যান্ডারসন ও ব্রড। দুজনেই নেন সমান ৪টি করে উইকেট। এ ছাড়া দুই ইনিংস মিলিয়ে অ্যান্ডারসন নেন ৭ উইকেট। আর ব্রড নেন ৫ উইকেট।
ম্যাচটিতে টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ৩২৫ রান করে ইংল্যান্ড। বিপরীতে প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড করে ৩০৬ রান। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড করে ৩৭৪ রান। আর শেষ ইনিংসে নিউজিল্যান্ড থামে ১২৬ রানে।
নিউজিল্যান্ডের দুই ইনিংসেই ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন হ্যারি ব্রুক। প্রথম ইনিংসে তিনি উপহার দেন ৮১ বলে ৮৯ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৪১ বলে ৫৪ রান। ফলে ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠেছে ব্রুকের হাতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস : ৩২৫/৯ (ডি.)
নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস : ৩০৬
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস : ৩৭৪
নিউজিল্যান্ড ২য় ইনিংস : (লক্ষ্য ৩৯৪, আগের দিন ৬৩/৫) ৪৫.৩ ওভারে ১২৬ (মিচেল ৫৭*, ব্রেসওয়েল ২৫, কুগেলাইন ২, সাউদি ০, ওয়্যাগনার ৯, টিকনার ৮; অ্যান্ডারসন ১০.৩-৩-১৮-৪, ব্রড ১৫-৫-৪৯-৪, রবিনসন ৮-০-৩৪-১, লিচ ১১-৪-২৫-১, রুট ১-১-০-০)।
ফল : ইংল্যান্ড ২৬৭ রানে জয়ী।
সিরিজ : ২ ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে ইংল্যান্ড।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : হ্যারি ব্রুক।