জাতীয় ডেস্ক:
বইমেলায় অন্যপ্রকাশ প্যাভিলিয়নের সামনে তরুণ-তরুণীদের জটলা। সবার হাতেই ‘ব্যাচেলর ভাড়া দেওয়া হয় না’। মজার বিষয় হলো বইটি যারা কিনছেন, তাদের অধিকাংশই ব্যাচেলর। ভিড় ঠেলে ভেতরে ঢুকে দেখা গেল লেখক মনদীপ ঘরাই অটোগ্রাফ দিচ্ছেন। পাঠকদের এমন সাড়া পাওয়ায় অভিভূত তিনি। বললেন, বইটি তরুণ ও ব্যাচেলরদের এত কাছে টানবে তা আগে ভাবতে পারেননি।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে একুশে বইমেলায় মানুষের আনাগোনা ছিল অন্যদিনের থেকে বেশি। এর মধ্যে অন্যপ্রকাশ প্যাভিলিয়নে ছিল অন্যরকম ভিড়। কবি ও কথাসাহিত্যিক মনদীপ ঘরাইয়ের নতুন উপন্যাস ‘ব্যাচেলর ভাড়া দেওয়া হয় না’ কেনা এবং লেখকের অটোগ্রাফ নেয়ার জন্য ভিড় করেন ব্যাচেলররা। মেস জীবনের স্মৃতি ফিরিয়ে আনার মতো বাস্তবধর্মী উপন্যাস তরুণ ও ব্যাচেলরদের কাছে টেনেছে। তারা বইয়ের নাম ও ভূমিকার সঙ্গে নিজেদের সংযোগ খোঁজার চেষ্টা করেছেন।
মেলায় লেখকের হাত থেকে বই নিতে আসা সুলাইমান বলেন, ‘লেখকের আরেকটা উপন্যাস অনলাইন থেকে কিনে পড়েছি। তবে এ বছর ফেসবুকে ব্যাচেলরদের নিয়ে বইয়ের কথাটা আকৃষ্ট করেছে বেশি। তাই লেখক আজ মেলায় আসবেন শুনে নিজেই চলে এসেছি।’
অটোগ্রাফ সম্বলিত ‘ব্যাচেলর ভাড়া দেওয়া হয় না’ বইটি পাঠকের হাতে তুলে দিচ্ছেন লেখক মনদীপ ঘরাই। ছবি: সময় সংবাদ
নন্দিত লেখক ও প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘লেখক মনদীপ ঘরাইয়ের বইয়ের নাম ও বিষয়গুলো একটু আলাদা ধাঁচের হয়। এর আগের বছর Ghosting বা হুট করে হারানো নিয়ে লিখেছিলেন ‘একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি’ আর এ বছর লিখলেন ব্যাচেলরদের নানা অভিজ্ঞতা নিয়ে।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় পাঠকদের এই সাড়া দেখে অভিভূত হয়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন লেখক মনদীপ ঘরাই।
তিনি সময় সংবাদকে বলেন, ‘স্কুল জীবন, কলেজ জীবন, কর্মজীবন কিংবা সংসার জীবন নিয়ে বহু বই পাবেন। কিন্তু মেস জীবন নিয়ে লেখা হয় খুব কম। এবার সেই ভিন্ন পথেই হাঁটলাম। পাঠকদের সাড়া দেখে ভালো লাগছে।’
মেলায় অন্যপ্রকাশের প্যাভিলিয়নে পাওয়া যাচ্ছে মনদীপ ঘরাইয়ের ‘ব্যাচেলর ভাড়া দেওয়া হয় না’। শুক্রবার লেখকের উপস্থিতিতে (দুই ঘণ্টায়) দেড় শতাধিক বই কিনেছেন ব্যাচেলররা।