হোম জাতীয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন

জাতীয় ডেস্ক :

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা পালিত হয়েছে বুধবার (১৯ অক্টোবর)। এ উপলক্ষে ভোর থেকেই চলছে নানা আচার ও প্রার্থনা। উৎসবে বুদ্ধ ভক্তদের চাওয়া শান্তি নেমে আসুক ধরায় এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় থাকুক সবার মাঝে।

সূর্যের আলো ফোটার সাথে সাথেই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের এ একাগ্রতা। মনের সব চাওয়া-পাওয়া আর সকল প্রার্থনা বুদ্ধের কাছে।

বুদ্ধের ভক্তদের মতে, বৌদ্ধ ভিক্ষুরা আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত এই তিন মাস বর্ষাব্রত পালন করেন। তাই বর্ষাব্রত পালন শেষে ভিক্ষুরা আশ্বিনী পূর্ণিমা তিথিতে প্রবারণা করেন। এ দিন ভিক্ষুরা পরস্পরের কাছে তাঁদের পূর্বের ভুলভ্রান্তির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

রাজধানীর বাসাবো বৌদ্ধ মন্দিরে ভোরের প্রার্থনা শেষে চলে ধর্মীয় আলোচনা আর পঞ্চশীল এবং অষ্টশীল প্রদান। সেই সাথে চলে গানে গানে শান্তির বাণী প্রচারণা।

ভক্তদের চাওয়া অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ভাল থাকুক বাংলাদেশ। তারা বলেন, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ এবং সেটাই যেন বজায় থাকে, এটাই আমাদের চাওয়া। সবার জন্য অনেক অনেক আশীর্বাদ এবং পরিবারের জন্য কল্যাণ কামনা করছি।

বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের আয়োজিত ধর্মীয় আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। তিনি বলেন, মানবতা ও ভ্রাতৃত্বের কথা বলেছেন গৌতম বুদ্ধ। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের অবদান প্রশংসার দাবি রাখে বলে জানান তিনি।

স্বামী মহাথের বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থে বাংলাদেশ একটি দৃষ্টান্তমূলক অবদান রাখছে। সেটাই আমরা চাই। আমরা অশান্তি চাই না। আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চাই। সবাই ভাল থাকবেন। ভালো থাকার অনুরোধ করছি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করার জন্য অনুরোধ জানাছি।

প্রবারণা পূর্ণিমার পরদিন থেকে পরবর্তী এক মাস কার্তিকী পূর্ণিমা পর্যন্ত কঠিন চীবর দান সম্পন্ন হয়ে থাকে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন