হোম অন্যান্যসারাদেশ বেড়ি বাঁধে দোকান নির্মাণে থানায় প্রভাশালীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ!

বেড়ি বাঁধে দোকান নির্মাণে থানায় প্রভাশালীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ!

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 100 ভিউজ
 চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি:
ভাঙ্গণ কবলিত তেতুলিয়া নদীতে বন্যা ণিয়ন্ত্রণের বাঁধ সংরক্ষণে সিসি ব্লক ড্রেজিং ও জিওব্যাগ কার্যক্রম চলোমান থাকলেও চরফ্যাশন উপজেলার তেুতুলিয়া নদীর পাড়ে ডাম্পিং এরিয়াতেই স্থায়ি দোকানঘর নির্মাণ করে বাজার মেলানোসহ তা আবার বিক্রী করছে বলে অভিযোগ সূত্রে সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
জানা যায়, ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২ চরফ্যাশনের আওতায় উপজেলার তেতুলিয়া নদীর ভাঙ্গণ কবলিত এলাকা বকসী লঞ্চঘাট থেকে বাবুরহাট লঞ্চঘাট পর্যন্ত নদী প্রতিরক্ষা ও ড্রেজিং বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের নির্দিষ্ট মেয়াদে কাজের অগ্রতী না থাকার সুযোগে প্রকল্পের এরিয়ায় বকসী লঞ্চঘাট সংলগ্ন বেড়ি বাঁধে স্থানীয় ৮ প্রভাবশালী জমি দখল করে বাজার মিলিয়েছে।
এছাড়াও ওই বাজারে প্রায় অর্ধশতাধীক আধাপাকা ও টিনশেড ঘর নির্মাণ করেছে কথিত প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এবং ওই ঘরগুলো পজেশন বা ভিটিসহ স্থানিয় মৎস্য আড়ৎদার ও বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে দেড় থেকে দুই লাখ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে। এছাড়াও এসব অবৈধ নির্মাণাাধীন স্থাপনা নির্মাণের জন্য বণ্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প এলাকার স্টক নদীর পাড় পাইলিং হিসেবে সংরক্ষিত সিসি ব্লক দিয়ে অবৈধভাবে ওই বাজারটির চারপাশ ঘেরাও করা হয়েছে। যা বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নদী প্রতিরক্ষা বাঁধ ডিজান বহির্ভুত ও ওই প্রকল্পটির জন্য হুমকি স্বরূপ। এ ঘটনায় পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ চরফ্যাশনের উপ-সহকারী প্রোকৌশলী মো. শাহ আলম ভূইঁয়া বাদি হয়ে শশিভূষণ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেণ। কলমী ইউনিয়নের আঞ্জুরহাটের বকসী লঞ্চঘাট এলাকার স্থানিয় ইসমাইল মেম্বার,তুহিন হাওলাদার,মিজানুর রহমান,আলমগীর মৃধা,আকবর হোসেন,আবুল বাশার এবং মো.হাবিবসহ,ফরহাদ মিলে ওই প্রকল্প এলাকায় বেড়ি বাঁধের উপরে আধাপাকা এসব স্থাপণা নির্মাণ করেছে বলে সূত্রে জানা যায়। নদী ভাঙ্গণ থেকে রক্ষা এবং বৃহৎ জনস্বার্থে ওই বাজারটিতে মার্কেট কিংবা অন্যান্য স্থাপনা নির্মান কাজ বন্ধসহ নির্মাণাধীন স্থাপনা সমূহ অপসারন এবং ওই মার্কেটের চতুর্দিকে গ্রাউন্ড করা সকল সিসি ব্লক যথাস্থানে স্টক করে দেয়ার জন্য ব্যবস্থা নিতেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক দায়েরকৃত অভিযোগে অনুরোধ করা হয়েছে।
স্থাপনা নির্মানসহ অবৈধ দখলকারী মুন্সী মিজান সংবাদকর্মীদের বলেন, নির্মাণাধাীন ওই ভিটির যায়গাটি আমাদের পারিবারিক এবং রেকর্ডকৃত সম্পদ। পানি উন্নয়ন বোর্ড তা অধিগ্রহনের মাধ্যমে আমাদের জমির উপর দিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মান করছে। তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের জমিতেই ঘর নির্মানসহ বাজার ব্যবস্থাপনা করছি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন