মোঃ তাজমুল হোসেন,ঝিকরগাছা (যশোর):
বন্যার প্রভাব আর অতিবৃষ্টিতে সবজির বাজারে যেন আগুন লেগেছে। কাঁচাবাজারে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। এক মাস ধরে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। সেই সাথে পুরো সময়ে অস্বাভাবিক দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।দিন না যেতেই তিনশত টাকার সর্বোচ্চ দামে কাঁচামরিচের তেলেসমাতিতে বাজার কাঁপাচ্ছে। এই অবস্থায় দিন আনা দিন খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষেরা কাঁচা মরিচ খাওয়া বাদ দিয়ে শুকনা মরিচের দিকে ঝুঁকে পড়েছে।
ভালোমানের এক কেজি কাঁচামরিচ কিনতে এখন গুনতে হচ্ছে ২শত টাকা। তবে সাধারণ মানের আমদানি করা কাঁচামরিচ ৩শত টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। বেশির ভাগ সবজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, মরিচের দামে বেশ ঝাল। অবশ্য এর কারণও আছে। বন্যায় দেশের অনেক এলাকার ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। যেসব এলাকার পানি নেমেছে। সেখানেও অতিবৃষ্টির কারণে আবাদ শুরু হয়নি। তা ছাড়া আগে থেকেই করোনা সংক্রমণের কারণে এবার সবজির আবাদ কম হয়েছে। প্রতিদিনের রান্নাবান্নায় অতি প্রয়োজনীয় মরিচ। গেল মৌসুমে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির মতো ধারায় কাঁচা মরিচও হাঁটছে বলে মন্তব্য অনেকের।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা বৃষ্টিতে কাঁচামরিচের সরবরাহ কমার কারণে দাম এমন অস্বাভাবিক।
এদিকে বাজারে কাঁচা মরিচের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে নাস্তানাবুদ ক্রেতারা। অন্যদিকে অতিবৃষ্টিতে অধিকাংশ মরিচ ক্ষেত নষ্ট হওয়ার ফলে মরিচের উৎপাদন কম হয়েছে। সেই সুযোগে বিক্রেতারা অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধি করেছেন বলে এমন দাবি ক্রেতাদের।ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, অতি বৃষ্টিতেনিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় সবজির পাশাপাশি কাঁচা মরিচেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে আনুমানিক ২৫% মরিচের ক্ষেত নষ্ট হয়েছে।
এ অবস্থায় কৃষক বেশি দামে মরিচ বিক্রি করে লাভবান হলেও সাধারণ ক্রেতা সাধারণের মাঝে কিছুটা নাভিশ্বাস দেখা দিয়েছে। আশা করছি পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। চলতি মৌসুমে ঝিকরগাছা উপজেলায় ৭০ থেকে ৮০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে।