সংকল্প ডেস্ক:
ভোমরা ও বেনাপোল স্থল বন্দরের মধ্যে আমদানি বাণিজ্যের বৈষম্য নিরসন করা সম্ভব হয়নি। সরকারি শুল্কের তারতম্যের কারনে এমনই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয় এক ট্রাক আঙ্গুর ফল ভোমরা বন্দর দিয়ে আমদানী করলে সরকারি রাজস্ব আদায় করা হয় প্রায় সাড়ে ২৫ লক্ষ টাকা। সমপরিমান পণ্য বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে আমদানী করলে সরকারি রাজস্ব নির্ধারিত হয় প্রায় সাড়ে ২৪ লক্ষ টাকা। ক্যারেটের টিআর ওজন এর তারতম্যের কারনে এমনই প্রায় এক লক্ষ টাকা সরকারি শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ পায় বেনাপোল স্থল বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা। গত ৩ দিনের বিল অব এন্ট্রির পর্যালোচনা করে প্রায় ৫০ কি.মি. দুরত্বে অবস্থিত বেনাপোল ও ভোমরা বন্দরের রাজস্ব আদায়ের এই চিত্র পাওয়া গেছে। ফলে আমদানী বাণিজ্যে অসম প্রতিযোগীতার মুখে পড়েছে ভোমরা স্থল বন্দরের ব্যবসায়ীরা। বেনাপোল স্থল বন্দরে আমদানীজাত পণ্যের শুল্ক ফাঁকির সুযোগ থাকলেও ভোমরা স্থল বন্দরের চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত।
ভোমরা বন্দর দিয়ে আমদানীজাত ভারতীয় আঙ্গুর ফলের প্রতিটি ক্যারেটের টিআর ওজন বাদ দেওয়া হয় ১ কেজি ৫০০ গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ ১ কেজি ৭০০ গ্রাম পর্যন্ত । সাধারণত প্রতিটি ট্রাকে আঙ্গুর ফল থাকে প্রায় সাড়ে ১১’শ প্লাস্টিকের ক্যারেট থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ১২শ প্লাস্টিকের ক্যারেট পর্যন্ত। পক্ষান্তরে, বেনাপোল স্থল বন্দরে আঙ্গুর ফলের প্রতিটি প্লাস্টিকের ক্যারেটের টিআর ওজন বাদ দেওয়া হয় ২ কেজি ২০০ গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ ২ কেজি ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত। ফলে বেনাপোল ও ভোমরা স্থল বন্দরের প্রতিটি প্লাস্টিকের ক্যারেটের টিআর আর ওজনের তারতম্য ঘটে প্রায় ৮০০ গ্রাম। অর্থাৎ সাড়ে ১২শ প্লাস্টিকের ক্যারেট বোঝাই একটি আঙ্গুর ফলের ট্রাকে কমপক্ষে ১ লক্ষ টাকা সরকারি শুল্ক ফাঁকির সুযোগ সৃষ্টি হয়।
ভৌগলিক অবস্থান গত কারনে ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে ফল, মাছ, পানসহ পচনশীল পণ্য অতি দ্রুত আমদানির সুযোগ রয়েছে। কিন্তু আমদানীজাত একটি ফলের গাড়ি থেকে ভোমরা ও বেনাপোল বন্দরে প্রায় লক্ষ টাকার রাজস্বের তারতাম্য ঘটে।
ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এজাজ আহমেদ স্বপন এ খবরের সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, অসম প্রতিযোগীতার কারনে ভোমরা বন্দর থেকে ব্যবসায়ীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।