সংকল্প ডেস্ক:
আমদানী বাণিজ্যে অসম প্রতিযোগীতার মুখে পড়েছে ভোমরা স্থল বন্দরের ব্যবসায়ীরা। বেনাপোল স্থল বন্দরে আমদানীজাত পণ্যের শুল্ক ফাঁকির সুযোগ থাকলেও ভোমরা স্থল বন্দরের চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। তারপরও চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের জাঁঁতাকলে পড়ে ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে। বিভিন্ন শ্রেণীপেশার ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
আমদানীজাত পণ্যবাহি ট্রাক ভোমরা বন্দরের জিরো পয়েন্ট অতিক্রমকালে ট্রাক প্রতি দুইশো রূপি হারে সিএন্ডএফ এজেন্ট এর নামে চাঁদাবাজি শুরু হয়। এরপর লোড-আনলোডের নামে আমদানিকারকদের ডাবল লেবার বিল প্রদাণ করতে হয়। ভৌগলিক অবস্থান গত কারনে ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে ফল, মাছ, পানসহ পচনশীল পণ্য অতি দ্রুত আমদানির সুযোগ রয়েছে। কিন্তু আমদানীজাত একটি ফলের গাড়ি থেকে ভোমরা ও বেনাপোল বন্দরে প্রায় দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকার রাজস্বের তারতাম্য ঘটে। আমদানীজাত প্রতিটি আঙ্গুর ফলের ট্রাকে ১২০০- ১২৫০ ক্যারেট থাকে। শুল্কায়নের সময় প্লাস্টিকের ক্যারেটের ওজন টিআর বাবদ বাদ দেওয়া হয়। বেনাপোল স্থল বন্দরে টিআর বাবদ প্রতি ক্যারেটের ওজন প্রায় ৩ কেজি বাদ দেওয়া হয়। কিন্তু একই প্লাস্টিকের ক্যারেটের ওজন ভোমরা স্থল বন্দরে ১.৭ কেজি বাদ দেওয়া হয়। ফলে প্রতি ক্যারেটে ১.৩ কেজি ওজনের তারতম্য ঘটে। হিসাব অনুযায়ী, বেনাপোল বন্দরে দেড় টনের অধিক দেড় লক্ষাধিক টাকার শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়। পক্ষান্তরে, ভোমরা স্থল বন্দরে ব্যবসায়ীরা এক কেজি পণ্যের ও শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ পায়না। যার কারনে সকল সুযোগ সুবিধা থাকার পরও শুল্ক ফাঁকির আশায় ফলসহ কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা ভোমরা বন্দর ত্যাগ করে বেনাপোল বন্দরের দিকে ঝুঁকে পড়েছে।
ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এজাজ আহমেদ স্বপন এ খবরের সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, অসম প্রতিযোগীতার কারনে ভোমরা বন্দর থেকে ব্যবসায়ীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।