অবশেষে বৃষ্টির দেখা পেল রাজধানী। প্রচণ্ড গরমে এক পশলা বৃষ্টির ছোঁয়ায় যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে নগরীর মানুষ। তাদেরকে ছাদে, সড়কে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে। তারা ভিজতে শুরু করেছে। ভিজতে শুরু করেছে ধুলোয় জমা সড়ক। যদিও কয়েকদিন ধরেই সারা দেশে বৃষ্টি হবে বলে জানাচ্ছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীতে বৃষ্টি শুরু হয়। প্রথমে ঝিরঝির করে পড়লেও পড়ে বাড়তে থাকে বেগ। তবে, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টির দেখা মেলেনি।
বৃষ্টির দেখা মেলায় সড়কে দেখা যায় উৎসুক মানুষের ভিড়। অনেকেই আনন্দে ছুঁয়ে দেখছিলেন বৃষ্টি। অনেকে শুরু করেন ভিজতে।
কমলাপুরের বাসিন্দা গৃহিনী সোমা আক্তার বলেন, ‘বহুদিন পর বৃষ্টির দেখা পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। দুই ছেলেকে নিয়ে ভিজছি। এতদিন টানা গরমে সবাই অতিষ্ঠ ছিলাম, প্রতীক্ষায় ছিলাম বৃষ্টির। সেই বৃষ্টি আজ এলো।’
আকাশি চৌধুরী বলেন, ‘বৃষ্টিতে শুধু শরীর ভেজেনি, ভিজেছে মনও।’
কুমিল্লায় নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন এক তরুণ। চার ঘণ্টার অপেক্ষায় যাত্রাবাড়ি থেকে পেয়েছেন বাস। তিনি বলেন, ‘বাড়ি যাচ্ছি। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে এতক্ষণ অপেক্ষা বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষায় ছিলাম। বাসে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হলো বৃষ্টি। মনে হচ্ছে—স্বস্তি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।’
আজ শনিবার (২১ এপ্রিল) সকাল ৯টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
শাহীনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগসমূহে অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
আরও বলা হয়, রাজশাহী, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঢাকা বিভাগসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং রংপুর, দিনাজপুর, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও ভোলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়, ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সকালে সিলেটে ছিল ২০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।