হোম জাতীয় বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের ৪৯তম শাহাদতবার্ষিকী আজ

বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের ৪৯তম শাহাদতবার্ষিকী আজ

কর্তৃক
০ মন্তব্য 131 ভিউজ

নড়াইল অফিসঃ

প্রিয় এই দেশটাকে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনতে জাতির যেকয়জন শ্রেষ্ঠ সন্তান বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ তাদের অন্যতম । একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে যশোরের গোলহাটি গ্রামে সহযোদ্ধাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার সময় পাক হানাদারদের বেয়োনেটের আঘাতে শহীদ হন নড়াইলে জন্ম নেয়া বাংলার সাহসী এ সস্তান। বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের ৪৯তম শাহাদতবার্ষিকী আজ (৫ সেপ্টেম্বর)। ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যশোর জেলার গোয়ালহাটি গ্রামে শাহাদাতবরণ করেন তিনি। এদিন পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীকে প্রতিরোধ এবং দলীয় সঙ্গীদের জীবন ও অস্ত্র রক্ষা করতে গিয়ে জীবন দেন নূর মোহাম্মদ। যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুরে তাকে সমাহিত করা হয়।

কতটা দেশপ্রেম থাকলে একজন যোদ্ধা মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও তা বরণ করে নিতে পারেন, তার অনন্য উদাহরণ বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ। একাত্তরের ৫ সেপ্টেম্বর স্বাধীনতা যুদ্ধে যশোরের গোলহাটি গ্রামে সহযোদ্ধাদের বাঁচাতে গিয়ে কভারিং ফায়ার করার সময় হানাদার বাহিনীর হাতে জীবন দেন তিনি।

১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী নড়াইলের মহিষখোলো গ্রামে কৃষক মো. আমানত শেখ ও জেন্নাতুন্নেসার ঘরে জন্ম নূর মোহাম্মদের। শিশু বয়সেই বাবা-মাকে হারান তিনি। সুগঠিত শারীরিক গঠন ও অসীম সাহসিকতার কারণে সেসময়ই গোটা গ্রাম জুড়ে তার নাম ছিল।১৯৫৯ সালে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস এ যোগ দেয়ার মধ্য দিয়ে নূর মোহাম্মদের সৈনিক জীবন শুরু। এরপর একাত্তরে ইপিআরের ল্যান্স নায়েক হিসেবে দায়িত্বরত অবস্থায়ই ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে।দীর্ঘদিনের সামরিক অভিজ্ঞতার কারণে ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদকে অধিনায়ক করে যশোরের ঝিকড়গাছার গোলহাটি গ্রামে স্থায়ী টহলের দায়িত্ব দেয়া হয়। সেখানেই দায়িত্বরত অবস্থায় প্রাণ হারান বাংলার এ সাহসী সন্তান। যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর গ্রামে তাকে সমাহিত করা হয়। বর্তমানে ছেলে গোলাম মোস্তফা কামাল ও তিন মেয়ে আছেন। বাল্যকালেই বাবা-মাকে হারান তিনি। সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। তবে, মতান্তর রয়েছে। তার গ্রামের নাম মহিষখোলার পরিবর্তন করে ২০০৮ সালের ১৮ মার্চ নূর মোহাম্মদ নগর করা হয়।

নূর মোহাম্মদের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আজ (শনিবার) সকাল সাড়ে ৮টায় নূর মোহাম্মদনগরে কোরআনখানি, স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, পুলিশ কর্তৃক সশস্ত্র সালাম এবং দুুপুরে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ট্রাস্ট ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এ মহান বীরের পরিবারের সদস্যরা জানান, তাঁর স্মরণে নড়াইলে একটি পাঠাগার ও স্মৃতি সংগ্রহশালা,১৯৮৫ সালের সরকারের দেয়া বাড়ি, তৈরি করা হলেও নানা সমস্যায় জর্জরিত এটি। এগুলো সস্কারের দাবী জানান,তার ছোট মেয়ে রোকেয়া বেগম, পাড়াপ্রতিবেশী ও স্কুল ছাত্রী।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আন্জুমান আরা বলেন ,আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে তারপরও নুর মোহাম্মাদকে ঘিরে মানুষের আগ্রহ বাড়িয়ে তুলতে ও নতুন প্রজন্ম যাতে নুর মোহাম্মাদকে ভালোভাবে জানাতে পারে এবং তার স্মৃতি ধরে রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন