বাণিজ্য ডেস্ক:
বিশ্বে যে পরিমাণ মানি লন্ডারিং হয় তার প্রায় ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে ইন্স্যুরেন্স বা বিমা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করা হয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের যোগাযোগ ও প্রকাশনা বিভাগ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, বিশ্বে যে পরিমাণ মানি লন্ডারিং হয় তার প্রায় ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে বিমা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করা হয়। মানি লন্ডাররা প্রতিনিয়ত তাদের কৌশল ও মাধ্যম পরিবর্তন করে থাকে। এ ক্ষেত্রে আর্থিক সেবা খাতের মধ্যে তুলনামূলকভাবে দুর্বল খাতকে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে।
এ বিবেচনায় নিজেদের মানি লন্ডারিং ঝুঁকিমুক্ত রাখতে বিমা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সবসময় সচেষ্ট থাকতে হবে জানিয়ে বিএফআইইউ প্রধান বলেন, বিমা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বিএফআইইউ বরাবর দাখিলকৃত সন্দেহজনক লেনদেনের সংখ্যা একেবারেই কম। তবে বীমা খাতের সুশাসন নিশ্চিতের মাধ্যমে খাতটির টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে।
বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) পরিচালক এস এম মাসুদুল হক বলেন, বিমা প্রতিষ্ঠানগুলোর পলিসি মেয়াদপূর্তি সত্ত্বেও গ্রাহকদের দাবি অনিষ্পত্তিকৃত থাকে। বিমা খাতে অর্থ পাচারের সিংহভাগ পরিচালনা পর্ষদ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সংশ্লেষের মাধ্যমে ঘটে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আইডিআরএ-র সহকারী পরিচালক আবু মাহমুদ, বিএফআইইউর নির্বাহী পরিচালক ও ডেপুটি হেড এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম প্রমুখ।