হোম জাতীয় বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু: পলক

জাতীয় ডেস্ক :

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কোনো নির্দিষ্ট দল, গোষ্ঠী বা দেশের নন, তিনি বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা।

সোমবার (৭ মার্চ) ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন উপলক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে আইসিটি টাওয়ারের অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

পলক বলেন, মাত্র ১৯ মিনিটের ভাষণের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ২৩ বছরের শোষণ ও বঞ্চনার ইতিহাস তুলে ধরেন। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বর্তমান আর্থ-সামাজিক অবস্থার তুলনামূলক চিত্র উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশ আজ পাকিস্তানের চেয়ে সব দিক থেকে অনেক এগিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরেই একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনে যখন বঙ্গবন্ধু হাত দিয়েছিলেন তখন থেকেই তার বিরুদ্ধে শুরু হয় ষড়যন্ত্র। এসব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করেই তিনি দেশকে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছ থেকে অত্যন্ত সুকৌশলে আড়াল করে রাখা হয়। যে জয় বাংলা স্লোগানে মুক্তিযু্দ্ধের দিনগুলোতে বাংলার আকাশ-বাতাস মুখরিত ছিল, অত্যন্ত সুকৌশলে সেই স্লোগানকে আড়াল করে রাখা হয়েছে। যে বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না সেই নেতাকে একটি প্রজন্মের কাছে একেবারে আড়াল করে রাখে একটি গোষ্ঠী।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা অনুযায়ী জনগণের সঙ্গে মিশে গিয়ে জনগণের খাদেম হয়ে সেবা করার আহ্বান জানান।

প্রতিমন্ত্রি বলেন, বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক মুক্তি দিয়েছেন এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম সফল করেছেন। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল ও প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ড. আতিউর রহমান ৭ মার্চের ভাষণের নান্দনিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ৭৪ শতাংশ তরুণের কাছে বঙ্গবন্ধু মানেই ৭ মার্চের ভাষণ। এ ভাষণের মাধ্যমে তিনি একটি জাতিকে শুধু চলার পথের দিশাই দেননি, পাশাপাশি তার সারা জীবনের রাজনৈতিক সংগ্রামের দুঃখ, বঞ্চনা ও ভবিষ্যতের রূপরেখাও তুলে ধরেছেন এক অবাক করা কাব্যিক মাধুর্য্যতায়।

তিনি আরও বলেন, এ ভাষণেই তার সুগভীর দার্শনিক চিন্তা ও গণমুখী নেতৃত্বের সর্বোচ্চ নান্দনিক প্রকাশ ঘটেছিল। তার এই সুকৌশল বার্তা বাংলার জনগন যথার্থই অনুধাবন করেছিল, তাই তখন থেকেই তারা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিয়ে তিনি যার যা কিছু আছে তাই নিয়েই প্রস্তুত থাকার নির্দেশ প্রদান করেন। বৈশ্বিক স্বীকৃতি এবং সহানুভূতি তৈরির ক্ষেত্রেও এ ভাষণ নিয়ামকের ভূমিকা পালন করেছে। স্বতঃস্ফূর্ত অথচ সুগঠিত এ ভাষণটি ছিল একই সঙ্গে আবেগ ও যুক্তিতে পূর্ণ।

ড. আতিউর রহমান আরও বলেন, এ ভাষণের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার রূপরেখা অঙ্কন করেন; এ দেশের মানুষের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির রোডম্যাপ প্রস্তুত করেন।

আলোচনা সভায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং এর আওতাধীন বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক মো. খায়রুল আমীন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

এর আগে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বিভাগের দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের নিয়ে আইসিটি টাওয়ারে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য উন্মোচন এবং ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন