বাণিজ্য ডেস্ক:
মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের সুরাহা না হলে অস্থির হয়ে পড়বে জ্বালানি তেলের বাজার। এতে তেলের দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ১৫০ ডলারে গিয়ে ঠেকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্বব্যাংক।
সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইন্দারমিত গিল শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন,
বিশ্ববাজারে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের রেশ চলাকালীন অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যে চলমান অস্থিরতা জ্বালানি তেলের বাজারে সংকট সৃষ্টি করবে। এতে ১৯৭০ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৯০ ডলার হলেও, যখন তখন বেড়ে যেতে পারে এ দাম। বিশ্বব্যাংক মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতিকে ৫০ বছর আগেকার অস্থিরতার সঙ্গে তুলনা করেছে। অস্থিরতা চলমান থাকলে তেলের দাম বেড়ে ১৪০ ডলার থেকে ১৫৭ ডলার পর্যন্ত উঠে যেতে পারে।
এ বিষয়ে গিল বলেন, ‘ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংকটের কারণে জ্বালানি তেলের বাজারে দ্বিমুখী শকড দেখা দিয়েছে। সংঘাতের আগেও মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ছিল। কিন্তু সংঘাত পরবর্তী সময়ে এটি অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। এভাবে সংঘাত চলমান থাকলে এর প্রভাব শুধু মধ্যপ্রাচ্যে না, বরং বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যাবে।’
জ্বালানি বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত থেমে গেলে তেলের দাম কমে ব্যারেলপ্রতি ৮১ ডলারে নামবে। আর যদি সংঘাত চলমান থাকে, তাহলে এ দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা এখনই হলফ করে বলা সম্ভব নয়।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে দেশে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বর্তমানে কিছুটা সহনশীল অবস্থায় আসলেও জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেলে আবারও মূল্যস্ফীতি বেড়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা করছে বিশ্বব্যাংক।
গিল বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি মানে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া। বিশেষ করে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে শুরু করলে সমানতালে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকবে। এতে করে বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা সংকটের সম্মুখীন হবে।