খেলাধূলা ডেস্ক:
দরজায় কড়া নাড়ছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। বিশ্ব আসরে অংশ নিতে ইতোমধ্যে ভারতে অবস্থান করছে বাংলাদেশ দল। পাঁচ দিন পর শুরু হবে বিশ্ব আসরের মাঠের লড়াই। এই লড়াইকে ঘিরে নিজের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তামিম ইকবালের বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়া নিয়ে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে কাঁদা ছোড়াছুড়ি চলেছে বেশ। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি লাইভ এবং সাক্ষাৎকার ঘটনাকে দিয়েছে নাটকীয় রূপ। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা।
আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু আগামী ৭ অক্টোবর, আফগানিস্তানের বিপক্ষে। আসরে মোট ৯টি ম্যাচ খেলবে সাকিব আল হাসানের দল। ভারতে অনুষ্ঠিতব্য এই আসরকে ঘিরে বাংলাদেশ দলের ভক্তদের প্রত্যাশাটা একটু বেশি। পরিচিত কন্ডিশনে এবারের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ সাফল্য বয়ে নিয়ে আসবে টাইগাররা, এমনটাই আশা করছেন সমর্থকরা।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনেক বড় একজন সমর্থক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিভিন্ন সময়ই মাঠে এসে খেলোয়াড়দের উৎসাহ দেন তিনি। খেলোয়াড়দের সঙ্গে প্রায়ই যোগাযোগও করেন তিনি। বিশ্বকাপকে ঘিরে বাংলাদেশ দলের কাছে প্রত্যাশা আছে তারও। মার্কিন গণমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সেটাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে প্রত্যাশার কথা জানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবসময় আশা করি বিশ্বকাপে ভালো খেলা দেখাতে পারব। আমার সঙ্গে সবসময় ওদের (ক্রিকেটারদের) যোগাযোগ থাকে। আসার আগেও (যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে) আমি কথা বললাম। খেলোয়াড়দের সঙ্গেও কথা বলি, যারা অরগানাইজার তাদের সঙ্গেও কথা বলি। আমি সবসময় খেয়াল রাখি।’
খেলোয়াড়দের উদ্দেশেও বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। খেলোয়াড়রা মাঠে তাদের সবটুকু ঢেলে দিয়ে লড়াই করবে এবং দেশের সম্মান বজায় রাখবে এটাই কামনা করেন দেশনেত্রী।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে ১৭ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৭-২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগদানের পর নিউইয়র্ক থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসি পৌঁছান শেখ হাসিনা।
১৩ দিনের যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে বাংলাদেশ সময় শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে লন্ডনের পথে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত লন্ডনে অবস্থান করবেন তিনি। এরপর ৪ অক্টোবর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।