হোম ফিচার বিআরটিসির বাস নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই যাত্রীদের

অনলাইন ডেস্ক:

বরিশালসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চলে রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা বিআরটিসির বাস নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই যাত্রীদের। বাসগুলোর অবস্থা এতোটাই করুন যে বৃষ্টিতে ভিজতে হয় যাত্রীদের। পদ্মাসেতু চালুর পর যাত্রী চাপ বেড়েছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে আয়। তবে যাত্রী সেবার মান বাড়েনি।

কোথাও দড়ি বাঁধা আবার কোথাও আছে জোড়াতালি। তারের সঙ্গে তার জোড়া দিলে সচল হয় গাড়ি। এমন লক্কড়-ঝক্কড় বাস দিয়েই বরিশাল অঞ্চলে চলছে বিআরটিসির যাত্রী সেবা।

বিআরটিসির বরিশাল ডিপো ঘুরে জানা যায়, অনেক বাসেরই নেই ফিটনেস। কোনোরকম জোড়াতালি দেয়া ৫৩টি বাস দেশের ১৭টি রুটে যাত্রী পরিবহন করছে। এর আগে ৭১টি বাস থাকলেও বিভিন্ন সময় মেরামতে সেগুলো ঠিক না হওয়ায় বাতিল করা হয়েছে ১৮টি বাস।

যাত্রীদের অভিযোগ, বাসের অবস্থা এতোটাই করুন যে বৃষ্টিতে ছাদ থেকে পানি পড়ে। মাঝপথে বিকল হওয়ার পাশাপাশি সময় মতো গাড়ি না ছাড়ারও রয়েছে অভিযোগ।

রহিম নামের এক যাত্রী জানান, বিআরটিসি কোন রুটের গাড়িই ভালো না। সব লক্কড়-ঝক্কড় বাস চলে তাদের। দ্রুত বাসগুলো পাল্টানো উচিত।

আবিদ নামে আরেক যাত্রী জানান, আমরা টাকা দিয়ে টিকিট কেটে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। এসব থেকে মুক্তি চাই।

তবে ভোগান্তির বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ বিআরটিসির কর্মচারীরা। উল্টো বাসগুলোর কোথাও কোনো সমস্যা নেই বলে দাবি তাদের।

এদিকে আগে লোসান দেখানো হলেও গত ৫ বছর ধরে কোনো লোকসান নেই বরিশাল ডিপোর। সর্বশেষ গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সব ব্যয় বাদ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির লাভ হয়েছে ৪ কোটি ৬৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৬৫ টাকা।

বিআরটিসি বরিশাল ডিপো ম্যানেজার জামশেদ আলী জানান, নতুন বাস দ্রুত সংযোজনের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলবেন তিনি।

১৯৯২ সালে নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকা থেকে বিআরটিসির যাত্রা শুরু হয়। প্রতিদিন গড়ে ৭ থেকে ৯ শতাধিক যাত্রী বরিশাল থেকে বিআরটিসি বাসে চলাচল করেন। বর্তমানে ৭৭ জন চালক সহ ডিপোটিতে ১৩৩ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন