হোম অন্যান্যলিড নিউজ বাড়ি থেকেই পশু বিক্রিতে উৎসাহ : কোরবানীর পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় খুলনার ৭ হাজার খামারী

বাড়ি থেকেই পশু বিক্রিতে উৎসাহ : কোরবানীর পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় খুলনার ৭ হাজার খামারী

কর্তৃক
০ মন্তব্য 104 ভিউজ

খুলনা অফিস :

করোনার মধ্যে এবার কোরবানীর পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে খুলনার প্রায় ৭ হাজার খামারী। বিগত বছরের মত এবারও পশু সংকট থাকলেও চাহিদা কম থাকায় সেটা দুর হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে করোনার মধ্যেও এবার কমেনি খুলনায় হাটের সংখ্যা। ফলে শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত খামারের পশু বিক্রি হয়ে যাওয়ার আশা খামারীদের। এবার হাটের পাশাপাশি সরকারি ব্যবস্থাপনায় অনলাইনে এ্যাপসের মাধ্যমেও গরু বিক্রি করা হবে।

খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, খুলনায় মোট ৬ হাজার ৮৯০ টি পশুর খামার রয়েছে। এসব খামারে কোরবানীযোগ্য পশুর পরিমান ৪৫ হাজার ১৮১টি। এর মধ্যে ২৮ হাজার ৩৯২টি গরু ও বাকি ১৬ হাজার ৭৮৯ টি ছাগল ও ভেড়া। এছাড়াও এবারও খুলনা বসবে ২৮টি স্থায়ী হাট।

খামারীরা জানান, গত কয়েকবছর ধরে কোরবানীকে কেন্দ্র করে খুলনায় গরু মোটাতাজা করে বিক্রির প্রবণতা বেড়েছে। যার কারণে গ্রাম থেকে শুরু করে নগরীর ভেতরেও তৈরি হয়েছে একের পর এক খামার। কিন্তু করোনা আতংকে এবার কোরবানীর বিষয়ে আগ্রহ কমেছে অনেকের। যার কারণে গরু বিক্রি নিয়ে আশংকা বেড়েছে খামারীদের।

সূত্র দাবি করেছে, করোনার কারণে সামগ্রিক অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব চলছে। বিপাকে পড়ছেন মধ্যবিত্ত শ্রেণি। যারা কয়েকজন মিলে (শেয়ার) কোরবানি দেন। করোনার কারণে এ শ্রেণি সবচেয়ে বিপাকে থাকায় অনেকেই চলতি বছর কোরবানি দিতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এতে কোরবানির পশু বিক্রি কমে যেতে পারে।

জেলার ডুমুরিয়ার শোভনা গ্রামের খামারি জাহিদ হোসেন বলেন, “এবার কোরবানিযোগ্য গরু নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি। করোনা পরিস্থিতির কারণে হাটের ওপর ভরসা করতে পারছি না। ভাল দাম পাব কিনা সংশয় রয়েছে। সে কারনে বাড়ি থেকেই খদ্দের দেখে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছি”।

একই শঙ্কা বটিয়াঘাটা উপজেলার আব্দুল মজিদের। তিনি বলেন, “করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার গরু কেনায় আগ্রহী কোনো ব্যাপারীর দেখা পাচ্ছি না। আমার কোরবানিযোগ্য ১০টি গরু রয়েছে। যার একেকটির সর্বনি ১ লাখ ১০ হাজার টাকা করে দাম হবে”।

খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এস.এম আউয়াল হক বলেন, করোনাকালীন সময়ে সংকট মোকাবেলায় আমরা খামারীদের বাড়ি থেকেই গরু বিক্রির পরামর্শ দিচ্ছি।এছাড়াও জেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় একটি এ্যাপসও উদ্বোধন করেছি যাতে গরু বিকিকিনি করতে পারে খামারীরা। মানুষ যাতে সহজে গরু কিনতে পারে এ জন্য হাটেও থাকবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। খামারিদের খুব বেশি হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এদেশের মানুষ ধর্মভীরু। শেষ মুহুর্তেও কোরবানী দিতে সচেষ্ট হবেন মানুষ।

তিনি আরও বলেন, জেলায় এবারে ২৮টি পশুর হাট বসবে। কোন অস্থায়ী হাট বসতে দেওয়া হবে না। এসব হাটগুলোর মধ্যে রয়েছে মহানগরীর জোড়াগেট,ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া,শাহাপুর,আঠারো মাইল,চুকনগর,পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী,গদাইপুর,কাছিকাটা, পাইকগাছার জিরোপয়েন্ট,দাকোপ উপজেলার বাজুয়া,চালনা,কয়রা উপজেলার দেউলিয়া বাজার,গোবিন্দপুর,কালনা,ঘুগরাকাঠি, মান্দারবাড়িয়া, হোগলা,ফুলতলা উপজেলা সদর,দিঘলিয়া উপজেলার এম এম মজিদ কলেজ মাঠ ও জালাল উদ্দিন কলেজ মাঠ,পথেরবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়,তেরখাদা উপজেলার ইখড়ি কাটেঙ্গা,বটিয়াঘাটা উপজেলার বাইনতলা,খুটিরহাট,উপজেলা সদর,বারোআড়িয়া,রূপসা উপজেলার আমতলা,তালিমপুর ও পূর্ব রূপসা বাস স্ট্যান্ড।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন