হোম অন্যান্যসারাদেশ বাগেরহাটের মোল্লাহাটে মধুমতি নদীর করালগ্রাসে তীরবর্তি পরিবারগুলো, ঝুকিতে সরকারী, বেসরকারি বহু স্থাপনা ও হাটবাজার

মোল্লাহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি :

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে মধুমতি নদীর ভাঙ্গনে চরম বিপাকে পড়েছে নদী কুলবর্তি পরিবারগুলো। শত বৎসরের পুরনো হাট,বাজার, সরকারী বিভিন্ন স্থাপনা, নব-নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, উপজেলা সদরের প্রধান সোপিং মার্কেট গুলো সবই রয়েছে ঝুকিতে।

ভাঙ্গন কবলীত এলাকা ঘুরে ভুক্তভোগিদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, উপজেলা সদরের খরোস্রোত মধুমতি নদীর কুল ঘেষে প্রায় ২কিঃমিঃ জায়গায় ভাদ্র ও আশ্বিন মাসের বড় ভাঙ্গন এবং বৎসরের সব সময় একটু একটু করে ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলীন হতে থাকে।

এতে করে নদীর কুলবর্তি পরিবার গুলো চরম বিপাকে পড়ে যায়, বাড়ীঘর,গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হলে আর জমি ক্রয়করে বাড়ী করার মত সহায় সম্বল না থাকায় ভাঙ্গন কবলীত দরিদ্র মানুষগুলো ছিন্নমূলে পরিণত হয়। উদয়পুর গো-হাট থেকে গিরীশনগর বটতলা পর্যন্ত নদী তীরের এই এলাকা খুবই ঝুকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে বিআইডবিøউ এর টাইডাল গেজ থেকে মোল্লাহাট থানার সামনে অবস্থিত খুলনা ওয়াশার পানি শোধনাগার পর্যন্ত অতিরিক্ত ঝুকিতে রয়েছে।

ঝুকিপূর্ন এলাকার নিকটবর্তি অবস্থানে রয়েছে উপজেলা পরিষদ ভবন, নব-নির্মিত মোল্লাহাট মডেল থানা ভবন, আবুল খায়ের সেতু, পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস, শহীদ হেমায়েত উদ্দিন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, পাঁচটি জামে মসজিদ, ১টি বড় মাদ্রাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয়, গাড়ফা বাজার খাদ্যগুদাম, জেলা পরিষদ ডাকবাংলো, সদর ডাকঘর, নব-নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, সোনালী ব্যাংক, উপজেলা সদরের প্রধান হাট-বাজার চান্দিনাসহ প্রায় ১০টি সোপিং সেন্টার এবং সরকারী ও ব্যক্তি মালিকানাধীন নানা স্থাপনা ও বাড়ীঘর।

নদী ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে এ সকল প্রতিষ্ঠান গুলো আক্রান্ত হলে সরকার যেমন বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হবে, ব্যক্তিপর্যায়ে ও অনেকেরই পথে বসতে হবে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন এঁর কাছে এলাকাবাসীর আকুল দাবী, অতিসত্ত¡র পানি উন্নয়ন বোর্ডের অগ্রাধীকার ভিত্তিক নদী শাষন প্রকল্পের মাধ্যমে মধুমতি নদীর করাল গ্রাস থেকে তাদের রক্ষা করার জন্য।

এ ব্যপারে বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কৃষ্ণেন্দু বিকাশ সরকার প্রতিবেদককে জানান বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ৩৬/১ পোল্ডারের তিনটি ভাঙ্গন কবলীত এলাকা সার্ভে করে পাঠানো তিনটি প্রকল্পের ৩হাজার ৪শত মিটার কাজের ডিজাইন ইতোমধ্যে আমরা পেয়েছি। পশুর নদীর ডিজাইনটা পেলে একসাথে দুটো প্রকল্প প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে।

সেখানে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সভা শেষে ডিপিবি প্রকল্প প্রস্তাব আকারে পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ে অনুমোদনের জন্য যাবে। অনুমোদন পেলেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে ঝুকিপূর্ন এলাকার নদী পাড় স্থায়ী ব্লক ডাম্পিং, প্লেসিং ও জিও ব্যাগের মাধ্যমে যতদ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করা হবে। আপাতত অস্থায়ীভাবে জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙ্গনরোধের একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, আশা করছি শিঘ্রই কাজ শুরু হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন