খেলাধূলা ডেস্ক :
ঘটনাবহুল ২০২২ ফুরিয়ে যাওয়ার দোড়গোড়ায়। বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনেও বছরটি ছিল ঘটনাবহুল। এ বছর নিউজিল্যান্ডের মতো দেশকে তাদেরই মাটিতে হারায় বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজও জিতেছে টাইগাররা।
২০২২ সালে ৪৬ ম্যাচের মধ্যে ১৭টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ওয়ানডেতে ১০টি, টি-টোয়েন্টিতে ৬টি ও টেস্টে একটি জয় পায় টাইগাররা। বছরটা বাংলাদেশ শুরুই করেছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে জয় দিয়ে। মাউন্ট মঙ্গানুয়ে ৮ উইকেটে জয় পায় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। কিউইদের ডেরায় এটিই বাংলাদেশের প্রথম কোনো জয়। ওই ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৭ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরা হন টাইগার পেসার এবাদত হোসেন।
নিউজিল্যান্ডে মহাকাব্য রচনার পর ঘরের মাটিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জেতে বাংলাদেশ। নবিদের বিপক্ষে পরে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হয় ১-১ সমতায়। এরপর আরও একটি ওয়ানডে সিরিজ জয়, এবার দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরের মাঠে। তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে নিজেদের করে নেয় তামিম ইকবাল বাহিনী। যদিও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেনি তারা।
এরপর শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হার। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে তাদেরই ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ভাগ্য বদলায়নি টাইগারদের। কিন্তু ওয়ানডে সিরিজে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করে লাল-সবুজের দল। এরপর প্রিয় প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারবরণ করে তারা।
ভুলে যাওয়ার মতো এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ৪ ম্যাচের মধ্যে জেতে ২টিতে। নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে ভরাডুবি হয় বাংলাদেশের। হেরে যায় সব কটি ম্যাচে। হারের সেই ধারা ভাঙে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। পরের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারে সাকিবের দল। পরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বকাপের আশা বাঁচিয়ে রাখে তারা। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে হেরে অনেকটা ব্যাকফুটে চলে যায় সেই আশা। শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে হারলে বিদায় নিশ্চিত হয় তাদের।
বছরের শেষ দিকে এসে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জেতে সাকিব বাহিনী। তিন ম্যাচের সিরিজে টাইগাররা জয় পায় ২-১ ব্যবধানে। যদিও টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হারতে হয় তাদের।