আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাইডেন প্রশাসনের বরাদ্দকৃত তহবিল বাতিল নিয়ে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মায়ামি অঙ্গরাজ্যে আয়োজিত ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এফআইআই) প্রায়োরিটি সামিটে এসব বরাদ্দের যৌক্তিকতা নিয়ে স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে কটাক্ষ করেছেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের জন্য ২৯ মিলিয়ন বা দুই কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার বরাদ্দের কথা।
সরকারি অর্থ অপচয় রোধে ট্রাম্পের প্রতিষ্ঠিত এবং ধনকুবের ইলন মাস্ক পরিচালিত প্রতিষ্ঠান, সরকারি সক্ষমতা বিভাগ (ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি বা ডোজে) কিছুদিন আগে একাধিক দেশের জন্য সহায়তা হিসেবে কোটি কোটি ডলার বরাদ্দ বাতিলের সিদ্ধান্ত জানায়। এরপর প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয়ে মন্তব্য করলেন ট্রাম্প। বৈদেশিক সহায়তায় নিয়োজিত মার্কিন সরকারি সংস্থা ইউএসএআইডির মাধ্যমে এই অর্থ পাঠানোর কথা ছিল।
ট্রাম্প বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটভূমি শক্তিশালী করার উদ্দেশে দেশটির জন্য প্রায় দুই কোটি ৯০ লাখ ডলার বরাদ্দ করেছিল বাইডেন প্রশাসন।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ব্যাপক আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রায় দেড় দশকের শাসনের অবসান ঘটে। তবে এর পেছনে মার্কিন ডিপ স্টেটের সম্পৃক্ততা ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। বিশেষত মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা মাইক বেঞ্জের কিছু সাক্ষাৎকারের পর এই বয়ান আরও বেশি করে প্রচারিত হতে থাকে। অবশ্য, কিছুদিন আগে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে সরকার পতনে মার্কিন ডিপ স্টেটের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প।
গতকালের ওই ভাষণে অন্যান্য দেশের বরাদ্দের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ডোজের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী, সহায়তা তালিকায় থাকা দেশের মধ্যে ছিল মোজাম্বিকের জন্য এক কোটি, কম্বোডিয়ার জন্য ২৩ লাখ, সার্বিয়ার জন্য এক কোটি ৪০ লাখ, মলদোভার জন্য দুই কোটি ২০ লাখ, নেপালের জন্য তিন কোটি ৯০ লাখ এবং মালির জন্য এক কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার।