হোম অর্থ ও বাণিজ্য বস্তার মোড়ক পাল্টে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে চাল

বস্তার মোড়ক পাল্টে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে চাল

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 79 ভিউজ

বাণিজ্য ডেস্ক:

চালের মূল্য কমাতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার অভিযানের কোনো প্রতিফলনই নেই গাইবান্ধার বাজারগুলোতে। অধিকাংশ দোকানেই নেই মূল্য তালিকা। এই সুযোগে চালের বস্তার মোড়ক পাল্টে বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। এতে প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) জেলার বিভিন্ন এলাকার চালের বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকাররা দাম বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে পাইকাররা বলছে দাম বাড়াচ্ছে মিলাররা।

জেলা সদরে বড় মসজিদ, হর্কাস মার্কেট ও পুরাতন বাজার খুচরা বাজারে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে মিনিকেট প্রতি কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা; বিআর-২৮ এর প্রতি কেজি ৫৫ টাকা; বাজার ভেদে একই চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা। স্বর্ণা প্রতি কেজি ৪৯ থেকে ধরনভেদে ৫২ টাকা; পায়জামের প্রতি কেজি ৫৫ টাকা, নাজিরশাইল প্রতি কেজি ৭৩ থেকে ৭৭ টাকা। কাটারিভোগ প্রতি কেজির দাম ৭২ থেকে ধরনভেদে ৮০ টাকা। চিনিগুড়া প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১১০ টাকা ও আটাশ ৫১ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এক সপ্তাহ আগে যে দামে চাল বিক্রি হয়েছিল, একই দামে বিক্রি হচ্ছে এসব চাল। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার নামমাত্র বাজার তদারকির কারণে চালের দাম কমার কথা থাকলেও এর সুফল পাচ্ছেন না সাধারণ ক্রেতারা।

বাজারে দেখা যায়, আগের কম দামে কেনা চাল বিক্রি করছে কিন্তু দেখাচ্ছে পরে বেড়ে যাওয়া দামে কেনা রশিদ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এমন ঘটনা ঘটছে। প্রতিটি দোকানে মূল্য তালিকার চার্ট থাকলেও কোনো দোকানেই লেখা নেই মূল্য। বস্তার মোড়ক পাল্টে বাড়ানো হচ্ছে চালের দাম।

পাইকারি বিক্রেতা জনি মিয়া বলেন, সরকার বাজার তদারকিতে নামার পর মিলাররা কিছুটা দাম কমিয়েছে, আমরা আগের রেটে যারা চাল কিনেছি সেগুলো তো বিক্রি করতে হবে। তখন বোঝা যাবে তারা কি দামে চাল বিক্রি করছে। সেই ভাবে আমরাও বিক্রি করব।

চাল ব্যবসায়ী সমিতির জেলা সভাপতি আতাউর রহমান বাদল অধিকাংশ দোকানে মূল্য তালিকা না থাকার কথা স্বীকার করে জানান, প্রতিটি দোকানে মূল্য তালিকা থাকা প্রয়োজন। দ্রুত তালিকা লাগানোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে গাইবান্ধা ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক আফসানা পারভীনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন