হোম জাতীয় বরিশাল সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়, টাকাই যেন ফাইলের হাত-পা

বরিশাল সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়, টাকাই যেন ফাইলের হাত-পা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 88 ভিউজ

জাতীয় ডেস্ক:

টাকা না দিলে ফাইল নড়ে না বরিশালের সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয়গুলোতে। অফিসের বিভিন্ন পদের কর্মচারীদের সরাসরি ঘুষ নেয়ার অভিযোগ এখন ওপেন সিক্রেট। এতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সেবা গ্রহীতাদের। তবে অভিযুক্তদের দাবি ঘুষ নয়, ইচ্ছে করেই তাদের খুশি করেন গ্রাহকরা।

ক্যামরায় ধরা পড়ে বরিশালের বাবুগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সহায়ক চান মিয়ার টাকা নেয়ার চিত্র। শুধু তাই নয়, জমিজমা সংক্রান্ত যে কোনো সরকারি সেবা পেতে হলে এ দফতরে ঘুষ না দিলে ফাইল নড়ে না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

অভিযোগের সত্যতা খুঁজতে সরেজমিনে যায় সময় সংবাদ। সময় সংবাদের ক্যামেরার উপস্থিতি টের পেয়ে অফিস জুড়ে শুরু হয় তোড়জোড়। কেউ কেউ দৌড়ে পালান। তবে তাদের দাবি ঘুষ নয়, গ্রাহকরা খুশি হয়েই সামান্য টাকাপয়সা দেন।

অফিস সহায়ক চান মিয়ার দাবি, আমরা কোনো প্রকার বাড়তি টাকা নেই না। মানুষের কাজের সহযোগিতা করলে তারা নিজেরাই খুশি হয়ে কিছু টাকা দেন। কেউ স্বেচ্ছায় বকশিস দিলে সেটা তো ঘুষ না।

শুধু বাবুগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রি অফিসই নয়। এ চিত্র জেলার ১০টি উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসেরই।

গ্রাহকদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সরকারি ফির বাইরে ঘুষ না দিলে তারা সেবা পান না। অনেকে আবার সরাসরি ঘুষ নেন না। বিকাশের মাধ্যমে তাদের টাকা পাঠিয়ে দিতে হয়। তবে এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন মহল ব্যবস্থা নেবে সেই আশা করছেন তারা।

সোহাগ নামে এক সেবাগ্রহীতা জানান, তিনি কয়েক সপ্তাহ ঘুরেও কাজ করাতে পারেননি। কিন্তু নানান কৌশলে যখন নির্ধারিত ফি’র বাইরে টাকা দিয়েছেন তখন অনায়াসে কাজ হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে চাননি সাব রেজিস্ট্রিররা। তবে জেলা রেজিস্ট্রার মো. মোহছেন মিয়ার দাবি, অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বরিশাল জেলায় জমির মৌজার সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ৫০টি। এছাড়া ৬৯টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ১০টি উপজেলা ভূমি অফিস ও ১০টি সাব রেজিস্ট্রি অফিস রয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন