জাতীয় ডেস্ক:
বরিশাল ও খুলনা সিটিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট সম্পন্নের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। দুই নগরের বাসিন্দারাও উৎসবমুখর ভোটের অপেক্ষায় রয়েছেন। ইতোমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে ইভিএমসহ অন্যান্য সরঞ্জাম। সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন নির্বাচন কর্মকর্তারা। অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীও।
রোববার (১১ জুন) অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে ভিড় করেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা। তাদেরকে বুঝিয়ে দেয়া হয় অমোচনীয় কালি, ইভিএমসহ অন্যান্য সরঞ্জাম। প্রথমবারের মতো এই দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএমে ভোট হবে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা।
বরিশাল ও খুলনায় আগামীকাল সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, কোনো প্রার্থী যদি আমাদের জানান, উনার নির্বাচনী এজেন্ট কিংবা পোলিং এজেন্টকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। আমরা তাৎক্ষণিক ভাবে ওই এজেন্টকে কেন্দ্রে প্রবেশ করানোর ব্যবস্থা করবো।
নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। বরিশালে ১০ প্লাটুন ও খুলনায় মোতায়েন রয়েছে ১১ প্লাটুন বিজিবি।
র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফিরোজ কবির বলেন, আমরা সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত রয়েছি, যাতে করে নগরের প্রতিটি ভোটার ভোটকেন্দ্রে গিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ও নিরাপদে তার ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পান।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা বলেন, চার হাজার ৮২০ জন পুলিশ নিয়মিত ডিউটি করবে এবং একই সঙ্গে তিন হাজার ৪৬৮ জন আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে।
এদিকে, শনিবার মাঝরাতে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শেষ হলেও, রোববার সংবাদ সম্মেলনে মুখোমুখি হন প্রার্থীরা। তারা ভোটারদের কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা প্রকাশ করেছেন।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, আমি এলাকার প্রত্যেকের সঙ্গে গণসংযোগ করেছি, তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছি। তারা যেন নৌকায় ভোট দেন।
বরিশার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস বলেছেন, যতই বাধা বিপত্তি থাকুক না কেনো আপনারা সেন্টারে যাবেন এবং আপনারা ভোট দেয়ার চেষ্টা করবেন।
নির্বাচন অফিসের দেয়া তথ্যমতে, বরিশাল নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের ১২৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০৬টি এবং খুলনায় ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের ১৬১টি ঝুঁকিপূর্ণ।