হোম জাতীয় বরিশালে পাচার হচ্ছিল বিপন্ন তক্ষক

জাতীয় ডেস্ক :

বরিশালে বিপন্ন বন্যপ্রাণী তক্ষকসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। রোববার (২২ আগস্ট) গভীর রাতে নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ধান গবেষণা রোডের খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ঘটনায় সোমবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ঝালকাঠির রাজাপুরের গালুয়া গ্রামের মো. ছালেক হাওলাদার (৫৫), বরিশাল নগরীর ধান গবেষণা রোডের বাসিন্দা মো. দেলোয়ার হোসেন (৬০), সিকদারপাড়ার মো. নিজাম উদ্দিন দুরানী (৩৪), ২৮ নম্বর ওয়ার্ড শের-ই বাংলা সড়কের মো. সুমন আকন (৩২) এবং ধান গবেষণা রোডের আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী মোসাম্মত হনুফা বেগম (২৫)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধান গবেষণা রোডের খেয়াঘাট এলাকায় বিরল বন্যপ্রাণী তক্ষক পাচার হচ্ছে, এমন খবর পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে খাঁচাবন্দি একটি তক্ষকসহ ৫ জনকে আটক করা হয়। উদ্ধারকৃত তক্ষকটির দৈর্ঘ্য ১৫ ইঞ্চি এবং ওজন ১৮০ গ্রাম।

বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ খাইরুল আলম জানান, এ ঘটনায় আটকৃতদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় বন্যপ্রাণী আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি উদ্ধারকৃত তক্ষকটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তক্ষক সম্পর্কে বাংলাদেশ বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা বলেন, তক্ষক (Gecko) গিরগিটি প্রজাতির র্নিবিষ নিরীহ বন্যপ্রাণী। সাধারণত পুরনো বাড়ির ইটের দেয়াল, ফাঁক-ফোকড় ও বয়স্ক গাছে এরা বাস করে। কীটপতঙ্গ, টিকটিকি, ছোট পাখি ও ছোট সাপের বাচ্চা খায়। আন্তর্জাতিক প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) লাল তালিকা অনুযায়ী এটি বিপন্ন বন্যপ্রাণী।

তিনি আরও বলেন, তক্ষকের দাম ও তক্ষক দিয়ে তৈরি ওষুধ নিয়ে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হয়েছে। আর গুজবে বিশ্বাস করে এক শ্রেণির লোকেরা রাতারাতি ধনী হবার স্বপ্নে তক্ষক শিকারে নেমেছে। মূলত ব্যাপক নিধনই তক্ষক বিলুপ্তির প্রধান কারণ। তক্ষক দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ওষুধের উপকারিতা নিয়ে যা শোনা যায়, বৈজ্ঞানিকভাবে তার কোনো ভিত্তি নেই। তারপরও এই গুজবটির কারণেই প্রাণীটি হারিয়ে যেতে বসেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন