হোম অর্থ ও বাণিজ্য বরগুনা: অর্থনীতির চাকা ঘোরাচ্ছে গরুর খামার, কমছে বেকারত্ব

বাণিজ্য ডেস্ক:

বরগুনায় দিন দিন বাড়ছে গরুর খামার। গরু পালন-পালন করে একদিকে যেমন খামারিরা লাভবান হচ্ছেন, অন্যদিকে কর্মসংস্থান হচ্ছে বেকারদের। এতে খামারের কারণে ঘুরছে জেলার অর্থনীতির চাকা।‌ কমছে বেকারত্ব।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে দেড় শতাধিক গরুর খামার গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে গত এক বছরেই জেলায় অর্ধশতাধিক গরু খামার করা হয়েছে। এসময় খামারে একদিকে যেমন দুধ উৎপাদনের জন্য গাভী পালন পালন করা হচ্ছে, অন্যদিকে মাংসের জন্য কিংবা কোরবানির জন্য গরু লালনপালন করেছেন খামারিরা। বেশ লাভজনক হওয়ায় জেলায় দ্রুত বাড়ছে গরুর খামার।

বরগুনা পৌরসভার সোনাখালী এলাকার খামারি সোহাগ মিয়া বলেন, খামারে ১২টি গাভী রয়েছে।‌ প্রতিটি গাভী ১৮ থেকে ২৪ কেজি পর্যন্ত দুধ দেয়। খামারে স্থানীয় দুইজন বেকারকে কাজের সুযোগ দিয়েছি। সব মিলিয়ে এই খামার থেকে প্রায় ৮ লাখ টাকা লাভ হয়।

সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের হাজারবিঘা গ্রামের খামারি শাকিল আরমান বলেন, খামারে শুধু কোরবানির জন্য গরু লালন-পালন করি। এ বছর খামারে ১৫টি কোরবানির গরু আছে। সবগুলো বিক্রি করতে পারলে এক বছরে সাত লাখ টাকা লাভ হবে। এক প্রকার ঘরে বসে থেকে বছরে সাত লাখ টাকা ইনকাম নিঃসন্দেহে অনেক বড় ব্যাপার।

সদর উপজেলার গৌরীচন্না ইউনিয়নের লাকুরতলা এলাকার খামারি শাহিন মোল্লা বলেন, গরুর খামার আমার অর্থনীতির চাকা সচল করছে। তবে গো-খাদ্যসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধিতে কাঙ্খিত লাভ করা সম্ভব হচ্ছে না।

পৌর শহরের ক্রোক এলাকার খামারি ইসমাইল হোসেন বলেন, গরুর খামার করতে অনেক টাকার দরকার। কিন্তু খামারিদের সরকারি সহায়তা ও সহজ শর্তে ঋণ দেয়া হয় না। তাই জেলায় খামারের সংখ্যা খুব একটা বাড়েনি। অন্যদিকে যাদের খামার আছে, তারাও খামার বড় করতে পারেননি। পরিধি বাড়াতে সরকারি সহযোগিতা অথবা সহজ শর্তে ঋণ দরকার।

আর বরগুনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উৎসাহে দিন দিন বরগুনায় বাড়ছে গরুর খামার। নিয়মিত খামারিদের পরামর্শ ও সেবা দেয়া হচ্ছে।

তবে খামারিদের অর্থ সহায়তা করার জন্য এই মুহূর্তে সরকারের কোনো প্রকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, এতে খামারিদের নগদ অর্থ সহায়তা করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে চাইলে সুপারিশ করা হয়।

চলতি বছর ঈদুল আজহায় এসব খামারের প্রায় আড়াইশো কোটি টাকার গরু বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন