আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘাতে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে মালয়েশিয়ায় ব্যাপক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় ফিলিস্তিনে মুসলমানদের ওপর ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞ, নির্যাতন, বোমা হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) মাগরিবের নামাজের মধ্য দিয়ে কুয়ালালামপুরের বুকিত জলিল স্টেডিয়াম আজিয়াটা অ্যারেনায় শুরু হয় বিক্ষোভ সমাবেশ।
সম্প্রতি ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘাত নিয়ে আলোচনার জন্য দুই দিনের সফর শেষে মিশর থেকে একটি বিমানে আজিয়াটা অ্যারিনায় সমাবেশে ভাষণ দিতে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৌঁছান মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। এরপর ফিলিস্তিনের জনগণের মঙ্গল কামনা করে ‘হাজত’ প্রার্থনা, এরপর বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) নেতৃবৃন্দ ফিলিস্তিনি-ইসরাইল সংঘাতের ইতিহাস ও উন্নয়ন নিয়ে ধারাবাহিক বক্তৃতা দেন।
সংঘাতের প্রতি পশ্চিমাদের দৃষ্টিভঙ্গির ভণ্ডামির নিন্দা জানিয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনপন্থি অবস্থানের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে ‘অসংখ্য’ হুমকি পাওয়া সত্ত্বেও আমরা আমাদের অবস্থানে অটল রয়েছি। স্বাধীন ও স্বার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছি।
সৌদি আরব, মিশর, তুর্কির মতো ইসলামী দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইসরাইলের কর্মকাণ্ডে তার ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে মনে হচ্ছে, যা এরইমধ্যে ‘উন্মাদনার’ পর্যায়ে রয়েছে।
ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলের নৃশংস পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষকে হত্যা করা, শিশুদের হত্যা করা, হাসপাতালে বোমা হামলা এবং স্কুল ধ্বংস করার অনুমতি দেয়া পাগলামি, এটি বর্বরতার কাজ।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমেরিকা হয়তো পরাশক্তি হতে পারে। কিন্তু মালয়েশিয়া তার পরোয়া করে না। আমাদেরও মর্যাদা রয়েছে। তাদের কাছে আমরা ঋণ চাই না। বরং বহু বিষয়ে উল্টো তারা আমাদের সহায়তা চায়।
গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনে যোগ দেয়ার পর থেকে গত সপ্তাহে প্রথম আসিয়ান-উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সৌদি আরব সফরের পর থেকে আনোয়ার ধারাবাহিকভাবে এই ইস্যুর জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন।
সমাবেশে মিলিত বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি তাদের দেশের প্রতি মালয়েশিয়ার জনগণের দৃঢ় সমর্থনের জন্য প্রশংসা করেন।