খেলার সংলাপ :
দক্ষিণ আফ্রিকায় নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। এর মধ্যেই আলোচনায় এক ক্রিকেটারের ফিক্সিং ইস্যু। বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকা এক ক্রিকেটারকে দলের বাইরে থাকা আরেক নারী ক্রিকেটার ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন বলে একটি বেসরকারি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে আসে।
গতকাল বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুসারে, একটি বেসরকারি টেলিভিশন প্রথম এই ফিক্সিংয়ের খবরটি প্রকাশ করে। যেখানে দুই ক্রিকেটারের মধ্যকার একটি অডিও প্রকাশ্যে আসে।
উক্ত প্রতিবেদনে জানানো হয়, দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকা বাংলাদেশ দলের অন্যতম সদস্য লতা মণ্ডলকে ঘৃণিত প্রস্তাব দেন সোহেলী আক্তার। যিনি বর্তমানে জাতীয় দলের বাইরে আছেন। লতা-সোহেলী দীর্ঘদিন জাতীয় দলে একসঙ্গে খেলেছেন।
যদিও সোহেলীর এই ফিক্সিংয়ের প্রস্তাবে সাড়া দেননি ক্রিকেটার লতা মণ্ডল। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকাতে বসেই সোহেলীর প্রস্তাবে ‘না’ বলে দেন। পরে সঙ্গে সঙ্গে তা কোচ ও টিম ম্যানেজারকে জানান। কোচ ও ম্যানেজার দ্রুতই বিষয়টি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) জানায়।
ফাঁস হওয়া অডিওতে শোনা যায়, ফোনের এক প্রান্ত থেকে সোহেলী ক্রিকেটার লতাকে বলছেন, ‘ভয়ের কিছু নেই। আমি তোমার কোনো ক্ষতি করব না। তোমার যখন ইচ্ছা ফিক্সিং করবে, যখন ইচ্ছা করবে না। কোন ম্যাচে ফিক্সিং করবে সেটাও তোমার ব্যাপার। ধরো একটি ম্যাচে ভালো খেললে, পরের ম্যাচেই করতে পারো। তুমি চাইলে স্ট্যাম্প আউট বা হিট আউট হতে পারো। যদি ২০-৩০ লাখের স্ট্যাম্প আউট হতে অসুবিধা হয়, তাহলে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে স্ট্যাম্প আউট হতে পারো। কম মনে হলে বলতে পারো। আমি ভাইয়ার সঙ্গে কথা বলবো। মনে রেখো, এই কথাটা শুধু তোমার আমার মধ্যেই থাকবে।’
আর এই ফিক্সিংয়ের বিষয়টি স্বীকার করে বিসিবির নারী ক্রিকেট বিভাগের প্রধান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, ‘বিষয়টি এখন আইসিসির দুর্নীতি কমিশন (আকসু) বিভাগের হাতে। তারা বিষয়টি দেখছে।’
এই বিষয়ে বিসিবির সিইও নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘এই বিষয়টি আইসিসির অ্যান্টিকরাপশন ইউনিট দেখভাল করছে। আমাদের খেলোয়াড়রা এই বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক। তারা জানে কী করতে হবে, কী করতে হবে না।’