অনলাইন ডেস্ক:
তিন দিন ধরে অপারেশন থিয়েটারে প্লাস্টিকের বয়ামে রাখা জরায়ুর কাটা অংশ। চারদিকে দুর্গন্ধ। অনুমোদনহীন ল্যাবে চলছে নানা পরীক্ষা। ফ্রিজে মেয়াদোত্তীর্ণ রক্ত। এমন ভয়াবহ চিত্র খুলনা নগরীর সাচিবুনিয়া এলাকায় অবস্থিত ছফুরা ক্লিনিকের।
খুলনায় সুনির্দিষ্ট অনিয়মের অভিযোগে র্যাবের সহযোগিতায় ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর সাচিবুনিয়া এলাকায় ছফুরা ক্লিনিক এবং মোহাম্মদ নগর হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযানে মানহীন অপারেশন থিয়েটার, বৈধ কাগজপত্র না থাকা, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, অনুমোদনহীন ল্যাবসহ বিভিন্ন অভিযোগে ছফুরা ক্লিনিকের মালিক জিয়াউর রহমানকে এক লাখ ও মোহাম্মদ নগর হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক নুরুন নাহারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় রোগী ও স্বজনরা ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে ক্লিনিক সেন্টারের এমন প্রতারণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের পক্ষ থেকে রোগীদের অন্যত্র চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে মালিকদের সতর্ক করে অতিসত্ত্বর যথাযথ নিয়মের মধ্যে না এলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার এম সারোয়ার হুসাইন ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ।
খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বলেন, নগরের গল্লামারী এলাকায় বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে বিভিন্ন অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় ছফুরা ক্লিনিকের মালিক মো. জিয়াউর রহমানকে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম করায় ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং মোহাম্মাদনগর হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মিসেস নুরুননাহারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তারা জরিমানার অর্থ তাৎক্ষণিক জমা দেন। এসব অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে।
এ সময় খুলনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শেখ সাদিয়া মনোয়ারা ঊষাসহ র্যাব-৬ এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।