হোম অন্যান্যসারাদেশ পোলিং এজেন্টদের ওপর প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ বিএনপি প্রার্থীর বিশৃঙ্খলার দায়ে আটক ১

মাগুরা প্রতিনিধি :

কোনো সহিংসতা ছাড়াই উৎসবমুখর পরিবেশে ও শান্তিপূর্ণভাবে মাগুরা পৌরসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৮টায় ইভিএম পদ্ধতিতে এ ভাট গ্রহন শুরু হয়ে বিকাল ৪ টা পযর্ন্ত ভোট গ্রহন চলে। শহরের ভিটাসাইর কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে শাওন মীর (২০) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বিএনপি’র মেয়র প্রার্থীসহ একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাদের এজেন্টদের ওপর প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ এসেছেন। সকালে শীতের কারণে শুরুতে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটাদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। এ নির্বাচনে উল্লেযোগ্য নারী ভোটার ভোট কেন্দ্রে এসে তাদের ভোটারোধিকার প্রয়োগ করেন।


এদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইকবল আখতার খান কাফুর তার নির্বাচনী এজেন্টদের শহরের ভিটাসাইর প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া ও ঢুকতে না দেয়ার অভিযোগ করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে। এ বিষয়ে ইকবল আখতার খান কাফুর সাংবাদিকদের বলেন,‘প্রতিটি কেন্দ্র সকাল থেকে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দিয়ে দখলে রাখা হয়েছিল। এজেন্টদের ঢুকতে দেয়া হয়নি। যেসব কেন্দ্রে এজেন্টরা ঢুকেছিল তাদেরকে বের করে দেয়া হয়েছে।

তবে তার এ বক্তব্যের বিষয়ে শহরের ভিটাসাইর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার সাব্বির আহমেদ এ বিষয়ে বলেন ‘কেন্দ্রটিতে বিএনপি’র কোন এজেন্ট দেয়া হয় নি। একারণে এ ধরনের অভিযোগ সত্য নয়’।
জেলা রিটার্ণিং অফিসার অলিউল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ‘ইকবল আখতর খান কাফুরের অফিযোগের পক্ষে কোন তথ্য প্রমাণ কিংবা সত্যতা মেলেনি।

একই বিষয়ে আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খুরশিদ হায়দার টুটুল এ বিষয়ে বলেন, ‘ইকবল আখতার খান অধিকাংশ সময় আমেরিকা থাকেন। নির্বাচন এলেই তিনি দেশে এসে প্রার্থী হন। একারণে দলী নেতাকর্মীদের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। ফলে তিনি নির্বাচনে এজেন্ট দিতে পারবেন না এটাই স্বাভাবিক। এবারের পৌর নির্বাচনে স্বতস্ফুর্তভাবে মানুষ অংশ নেয়ায় এটি ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষতা ও প্রতিহিংসার বশেই বিএনপি প্রার্থী এসব অভিযোগ করেছেন’।

নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা গেছে, মাগুরা প্রথম শ্রেণির এ পৌরসভার মোট ভোটার ৭৬ হাজার ৮৯৩ জন। এবার প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ৩৫টি কেন্দ্রে ২০৮টি কক্ষে ভোট গ্রহন করা হয়। ভোট গ্রহন সম্পন্ন করতে ৩৫ টি কেন্দ্রে ৩৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ২০৮ জন সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন। নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে ১৫ জন পুলিশ ও আনসার সদস্য স্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হয়। এ ছাড়া বাড়তি নিরাপত্তার জন্য ৩ প্লাটুন বিজিবি র‌্যাব ও পুলিশের চারটি করে টিম ভ্রাম্যমান অবস্থায় ছিল। গোটা নির্বাচনী এলাকায় পুলিশের বিশেষ একটি স্টাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করে। অন্যদিকে ৯ টি ওয়ার্ডে ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটে নেতৃত্বে ৯টি ও দুই জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটর এ নেতৃত্বে দুইটি ভ্রাম্যমান আদালত দায়িত্ব পালন করে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন