অনলাইন ডেস্ক:
রাজশাহীতে সিজারিয়ান অপারেশনে প্রসূতি মায়ের গর্ভে ফুল (প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল) রেখেই সেলাই করার অভিযোগ উঠেছে গাইনি চিকিৎসক মেরিনা আক্তারের বিরুদ্ধে। তিনি নওগাঁ মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক।
ভুক্তভোগী নারী রিতা আক্তার বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভুক্তভোগীর ছোট ভাই আব্দুল জব্বার বলেন, গত ২ নভেম্বর তার বোন মোছা. রিতা প্রসবের জন্য পুঠিয়া উপজেলার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বেসরকারি রায়হানা ক্লিনিকের ভর্তি হন। ডা. মেরিনা আক্তার তার সিজার করেন। সিজারের পর রিতা ও তার নবজাতক শিশু বাড়ি ফিরে যান।
এর কিছুদিন পর রিতার সিজারের সেলাই কাটা হয়। সেলাই কাটার পর বোনের রক্তপাত বন্ধ হচ্ছিল না ও পেট ব্যথা অনুভব করছিল। একপর্যায়ে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১২ নভেম্বর আবারও ওই রায়হানা ক্লিনিকে ডা. মেরিনা আক্তারের কাছে নিয়ে যান। ডাক্তার তার অবস্থার অবনতি দেখে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন।
জব্বার জানান, হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসকদের নির্দেশনা অনুযায়ী সিল্কসিটি ডায়াগনিস্টক সেন্টারে বোনের আল্ট্রাসনোগ্রাম করান। সেখানকার রিপোর্টে বলা রিতার পেটে ফুল অপসারণ করা হয়নি।
হাসপাতালের ২৮নং ওয়ার্ডে ভর্তি রিতা বলেন, ‘আমি ভুল চিকিৎসার শিকার। শারীরিক অবস্থা ভালো না। চিকিৎসক অল্প সময় নিয়ে অপারেশন করায় এমন অবস্থা।’
রামেক হাসপাতালের গাইনি ইউনিট প্রধান ডা. নাহিদ সুলতানান বলেন, ‘রিতার পেটে জমাট রক্ত রয়েছে। এটা এমন কিছু না। চিকিৎসায় তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।’
অভিযুক্ত ডা. মেরিনা আক্তার জানিয়েছেন, ফুল পেটের মধ্যে থাকলে তা ভয়ের কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, একজন প্রসূতি মায়ের সিজারের পর তার ফুল কোনো কারণে ভেতরে থেকে যেতে পারে। ওই মুহূর্তে জোর করে ফুল বের করতে গেলেই বরং রোগীর আরও খাবার অবস্থা হতে পারে। ফুল পরবর্তীতে শরীরের সঙ্গে এবজর্ব (মিশে যায়) হয়ে যায়। এটা ভয়ের কোনো বিষয় নয়। যদি সমস্যা হয় তবে চিকিৎসা আছে, ওষুধ আছে।