শিক্ষা ডেস্ক:
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকার পুরানা মোগলটুলী উচ্চ বিদ্যালয় অচিরেই একটি উচ্চমানের বিদ্যালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে বলে মন্তব্য করেছেন ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ মাঠে আয়োজিত পুরানা মোগলটুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন তিনি।
তাপস বলেন, পুরানা মোগলটুলী উচ্চ বিদ্যালয় একটি অবহেলিত বিদ্যালয় ছিল। ডিএসসিসির উদ্যোগের আগে এ বিদ্যালয়ে পাঠদানের কোনো অনুমতি ছিল না। প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তা ছাড়া নিজস্ব জমিতে একটি চারতলা আধুনিক ভবনও নির্মাণ করা হয়েছে। এ বছর থেকে নবনির্মিত ভবনেই শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে। তাই পুরানা মোগলটুলী উচ্চ বিদ্যালয় অচিরেই একটি উচ্চমানের বিদ্যালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মেয়র আরও বলেন, ২০০৬ সালে এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে কোনো বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়নি। শিক্ষার্থীদের আরও চৌকশ, মেধাবী, বুদ্ধিদীপ্ত এবং ক্রীড়া অনুরাগী হিসেবে গড়ে তুলতে এখন থেকে প্রতিবছরই বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হবে। শুধু শিক্ষায় নয়, ক্রীড়া-সংস্কৃতি সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাবে শিক্ষার্থীরা এবং স্মার্ট বাংলাদেশের একজন সুনাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম বলেন, ডিএসসিসির মেয়র সম্পৃক্ত আছেন এমন যে কোনো জায়গায় তিনি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবেন। পুরানা মোগলটুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের উন্নয়নে আর্থিক সহযোগিতাসহ যে কোনো প্রয়োজনে তিনি সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন। এমনকি বিদ্যালয়কে এমপিওভুক্ত করার জন্য সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুরানা মোগলটুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মফিজুল ইসলাম, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জিন্নাতুল বাকিয়া, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, অঞ্চল-৪-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতাহার মিয়া, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আবু সাঈদ প্রমুখ।
মিউজিক্যাল চেয়ার, হাঁড়ি ভাঙা, যেমন খুশি তেমন সাজো, দৌড় প্রতিযোগিতাসহ ১৭ ক্যাটাগরির প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এই বার্ষিক ক্রীড়া আয়োজনে।