হোম জাতীয় পিরোজপুরে দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও অনেক জেলে পাননি সহায়তা

জাতীয় ডেস্ক:

সাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা চলছে। আর এতে বেকার হয়ে পড়েছেন পিরোজপুরের অর্ধলক্ষাধিক জেলে ও মাছ ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা। তবে অধিকাংশ জেলে নিবন্ধনবিহীন হওয়ায় সরকারি সুবিধা পাচ্ছেন না। এ ছাড়া দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও তালিকাভুক্তদের অধিকাংশ এখনও সরকারি সাহায্য পাননি। ফলে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন তারা।

২০১৫ সালের মেরিন ফিশারিজ অর্ডিন্যান্স ১৯৮৩-এর একটি ধারা সংশোধন করে সাগরের অর্থনৈতিক অঞ্চলে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত প্রতিবছর ৬৫ দিন সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর সরকার কঠোরভাবে এ আইন বাস্তবায়ন করছে। ফলে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে সাগরে বন্ধ থাকছে সব ধরনের মাছ শিকার। এর ফলে বেকার হয়ে পড়েছেন পিরোজপুরের বিভিন্ন উপজেলার অর্ধলক্ষাধিক জেলে, ট্রলার মালিক এবং মাছ ব্যবসায়ী। পাশাপাশি সরকারের প্রতিশ্রুত চাল সহায়তা এখনও পাননি অধিকাংশ জেলে।

ইন্দুরকানি উপজেলার পালেড়হাটের আবাসনে বসবাসকারী জেলে জুলফিকার আলী বলেন, ‘অনেক জায়গায়ই খাদ্য সহায়তা পেয়েছে শুনেছি। কিন্তু ইন্দুরকানি উপজেলায় এখন পর্যন্ত খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘অনেক জেলের কার্ড আছে কিন্তু তারা জেলে না। তাই তারাও খাদ্য সহায়তা পায়। তার কারণে অনেক সময় প্রকৃত জেলেরা তালিকা থেকে বাদ পড়ে যান।’

পিরোজপুরের বাদুরা মৎস্যপল্লির ট্রলার মালিক হারুন হাওলাদার বলেন, ‘আমরা সাগরে মাছ ধরতে যাই না অবরোধের কারণে। কিন্তু ভারতের জেলেরা সাগরে অবাধে মাছ শিকার করছেন। আমাদের দাবি, ভারতের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে অবরোধ দেয়া হোক। তা না হলে আমরা পথের ফকির হয়ে যাব। আমাদের ব্যবসা বন্ধ করে অন্য ব্যবসা ধরতে হবে।’

নিবন্ধিত জেলেদের সবাই পাচ্ছেন না সহায়তা। শুধু সমুদ্রগামী জেলেদের জনপ্রতি ৫৬ কেজি হারে চাল দেয়ার কথা থাকলেও তালিকা চূড়ান্ত করতে সময় লাগায় কিছুটা দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুল বারী।

পিরোজপুরের ৭টি উপজেলায় নিবন্ধিত ২৭ হাজার ৮০০ জেলের মধ্যে ৫ হাজার ৩৯৩ জন জেলের বিপরীতে ৩০২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন