পিরোজপুর অফিসঃ
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া কৃতি সন্তান মো. আবুল বাশার খান(৬০) আমেরিকার নির্বাচনে এবার চতুর্থবারের মত নিউহ্যাম্পশায়ারের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ পদে নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। আবুল খান রিপাবলিকান পার্টির সদস্য হয়ে নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হলেন। এ নিয়ে টানা ৪ বার রিপাবলিকান পার্টির সদস্য হয়ে নির্বাচনে বিজয়ের গৌরব অর্জন করেন। ৫৮ বছর বয়সী আবুল খান টানা ৪০ বছর ধরে আমেরিকার নিউহ্যাম্পশায়ারের সি ব্লকে সপরিবারে বসবাস করে আসছেন।
আমেরিকা প্রবাসি আবুল খান পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া শহরের সম্ভ্রান্ত খান বাড়ির প্রয়াত মাহাবুব উদ্দিন খান কাঞ্চন ও প্রয়াত শাহানারা বেগমের বড় ছেলে ।
জানাগেছে, আবুল খান একমাত্র বাংলাদেশী যিনি আমেরিকার নিউ হ্যাম্পশায়ারে রিপাবলিকান পার্টির সদস্য হয়ে নির্বাচনে টানা ৪ বার স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০৬ সাল থেকে কয়েকদফা নির্বাচনে অংশ নিয়ে সর্বোচ্চ ভোটে জিতে আসছেন তিনি । তিনি সেখানে নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা, জননিরাপত্তা ও পরিবেশ উন্নয়নে একজন বাংলাদেশী হিসেবে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন। আমরিকায় বসবাসরত দক্ষিণ এশিয়ার নাগরিক হিসেবে আবুল খানই প্রথম ব্যাক্তি, যিনি নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গ রাজ্যের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য হওয়ার গৌরব অর্জন ১৯৬০ সালের ১ মার্চ তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁরা দুই ভাই দুই বোন। পরিবারের সকলেই আমেরিকা প্রবাসী। তবে ছোট বোন রোজী খান অস্ট্রেলিয়া প্রবাসি। ভাই ও বোনদের মধ্যে তিনি সবার বড়। আবুল খান ১৯৮১ সালের ১০ জানুয়ারী আমেরিকায় যান ।
এর আগে ঢাকার মুসলিম গভঃ হাইস্কুল থেকে ১৯৭৬ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৭৮ সালে নটরডেম কলেজ হতে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ভর্তি হয়ে তিনবছর পড়ার পড় স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা গিয়ে আর ফেরেননি। আমেরিকা বসবাসরত অবস্থায় ১৯৮৪ সালে নিজ জেলা পিরোজপুরের মর্জিয়া হুদা খানকে বিয়ে করেন। এ দম্পতির ঘরে ছেলে আতিক খান ও মেয়ে নূসরাত জাহান আমেরিকা প্রবাসি।
আবুল খান আমেরিকা যাবার পর নিউইয়র্ক শহরে প্রথমে ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করেন। ২০০০ সালে তিনি নিউ হ্যাম্পশায়ার সিটির সি ব্লক শহরে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্রয় করেন। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ছাড়া সেখানে একটি গ্যাস স্টেশনও ছিল। সহধর্মীনি মর্জিয়া হুদা খানের অনুপ্রেরণায় আবুল খান নিউহ্যাম্পশায়ারে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন।