অনলাইন ডেস্ক:
পটুয়াখালীর পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বেতন কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। বুধবার (৭ মে) এ নির্দেশ দেন তিনি।
বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে বিসিপিসিএলে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, বিসিপিসিএলের (গ্রেড-১) ও গ্রেড-২–এর কর্মকর্তাদের বেতনকাঠামো সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সংশোধন বিষয়ে গৃহীত ব্যবস্থা বিদ্যুৎ বিভাগকে জরুরি ভিত্তিতে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে পরামর্শ প্রদান করা হলো।
এতে আরও বলা হয়, সকল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সরকার নির্ধারিত বেতনকাঠামো মেনে চললেও বিসিপিসিএল তাদের কর্মকর্তাদের অস্বাভাবিক হারে বেতন প্রদান করছে।
এর আগে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টার নির্দেশে গঠিত কমিটির সুপারিশ অনুসারে বেতনকাঠামো সংশোধন করতে গত ১৭ নভেম্বর বিসিপিসিএলকে চিঠি পাঠানো হয়। এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হলো তা এখন পর্যন্ত জানায়নি বিসিপিসিএল।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে যখন পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করা হয়, তখন সরকারি বেতন কাঠামো অনুসরণ করা হলেও ২০১৯ সালে এক বোর্ড সভায় শীর্ষ পর্যায়ের পদগুলোয় বেতন অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্র বলছে, এভাবে বেতন-ভাতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে মূল ব্যক্তি ছিলেন বিদ্যুৎকেন্দ্রটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম খোরশেদুল আলম। তিনি নিজে যেমন সুবিধা নিয়েছেন, তেমনি নিজের ঘনিষ্ঠদের অতিরিক্ত সুবিধা দিয়েছিলেন।
ওই সময় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মূল বেতন ১ লাখ ৭৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে করা হয় ৭ লাখ টাকা। সঙ্গে বাড়িভাড়াসহ বিভিন্ন ভাতা যোগ করে মোট বেতন দাঁড়ায় ১৫ লাখ টাকা। বেতনকাঠামোর দ্বিতীয় ধাপের (গ্রেড) কর্মকর্তাদের মূল বেতন ১ লাখ ৪৯ হাজার থেকে বাড়িয়ে করা হয় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ভাতাসহ দাঁড়ায় প্রায় ৯ লাখ টাকা।
তবে উচ্চ পর্যায়ে বেতন বাড়লেও তৃতীয় থেকে অষ্টম গ্রেড পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিলো সর্বোচ্চ ২ থেকে ১২ হাজার ২০০ টাকা। গ্রেড যত কম, বেতন বেড়েছে তত কম হারে। আর ৯ম থেকে ১৮তম গ্রেডের কর্মচারীদের বেতন মোটেও বাড়েনি।
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এর ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিট উৎপাদনে আসে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি। আর দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদন শুরু করে একই বছরের ২৬ আগস্ট।