আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বিকাল ৫টায়। যদিও কয়েকটি আসনে ভোটগ্রহণের সময় আরও দুই ঘণ্টা বাড়ানো হয়। ভোটগ্রহণ শেষে এখন চলছে গণনা।
বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ও এর নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপর নজিরবিহীন দমন-পীড়নের মধ্যদিয়ে পাকিস্তানের এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।
ভোটগ্রহণের দিন দক্ষিণ এশিয়ার আর পাঁচটা গণতান্ত্রিক দেশের মতোই সহিংসতা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ঘটেছে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাও। যা কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মীসহ অন্তত ৯ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।
সারাদিন ইন্টারনেট ও মোবাইল সেবা বন্ধ
ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার আগেই দেশজুড়ে মুঠোফোন সেবা সাময়িক স্থগিত রাখা হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় ইন্টারনেট সেবাও। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘অবনতি হওয়া নিরাপত্তা পরিস্থিতির’ কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট ও মোবাইল সেবা বন্ধ করার ঘটনাকে ‘মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর লাগামহীন হামলা বলে অভিহিত করেছে।
পুলিশের গাড়িতে বোমা হামলা, নিহত ৯
খাইবার পাখতুনখোয়ার ডেরা ইসমাইল খান জেলার কুলাচি এলাকায় টহলরত পুলিশের একটি দলের বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। গুলিও বর্ষণ করা হয়েছে।
এখান থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরের একটি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেছে বন্দুকধারীরা। এসব সহিংসতা দেশজুড়ে পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা সহ ৯ জন নিহত হয়েছে।
পিটিআই’র নির্বাচনের গুজব
ভোটগ্রহণের মধ্যে পাকিস্তানজুড়ে খবর ছড়ায়, নির্বাচন বর্জন করেছে পিটিআই। তবে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পিটিআই‘র পক্ষ জানানো হয়, খবরটি সত্য নয়, তারা নির্বাচনী লড়াইয়ে আছে।