পাইকগাছা প্রতিনিধি : –
পাইকগাছা পৌরসভা ও গদাইপুর ইউনিয়নে আংশিক লবন পানি উত্তোলন বন্ধে এলাকা বাসির অভিযোগের ভিত্তিতে পাউবো কর্মকর্তারা ৪টি স্লুইসগেট বালা দিয়ে বদ্ধো করে দিয়েছেন। ফলে এলাকার ধান চাষীসহ অন্যান্য চাষীদের মধ্যে সস্তির নিঃশ্বাস পড়েছে।
৮০ দশকে উপকূলীয় পাইকগাছার সমতলে লবণ পানি উঠিয়ে চিংড়ি চাষ শুরু হয়। অল্প সময়ে অধিক মুনাফার লোভে অতি দ্রুত প্রসার লাভ করে। ১৯৯৭ সালে পাইকগাছা পৌরসভা ঘোষনা হলে পৌর অভ্যন্তরে লবন পানি উত্তলন বন্ধ ঘোষনা করা হলেও অসাধু ঘের মালিকরা কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে লবন পানি উঠিয়ে চিংড়ি চাষ অব্যাহত রাখে।
সম্পরতি লবন পানি উত্তলন বন্ধে এলাকাবাসীর পক্ষে আব্দুস সবুর গাজী পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ জমা দেন। পর্বর্তীতে পাইকগাছা আইনজীবী সমিতি সাবেক সভাপতি এডভোকেট অজিত কুমার মন্ডল পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের নামে আইনি নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশ প্রাপ্তির পর নড়ে চড়ে বসে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
লবন পানি উত্তলন বন্ধ করতে উদ্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ পৌরসভার মধ্য ৩টি ও পৌরসভার সীমান্তবর্তী ১টি বযরা সরকারী স্লইস গেট পাইকগাছা উপবিভাগীয় প্রকৌশলী উপ-সহকারী কর্মকর্তা শাহজালাল রবিবার সকালে তার অধীনস্থ কর্মকর্তা কর্মচারীসহ স্থানীয়দের সাথে নিয়ে বয়রার স্লুইস গেটসহ ৪টি গেট তালা বদ্ধো করে দেন।
৪টি গেট বন্ধের ফলে গোপালপুর, বান্দিকাটী, ঘোষাল, সরল, বাতিখালী গ্রামের ইরি-বোরো ধান আবাদ ব্যাহত হবেনা বলে জানান ধান চাষী এনায়েত আলী, নুর আলী, আব্দুল গাজী, মিঠু সরদারসহ অনেকে।
পাউবো উপ সহকারী কর্মকর্তা শাহাজালাল জানান, এলাকা বাসির অভিযোগ এর ভিত্তিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পৌরসভার মধ্যে ৩টি ও পৌরসভা সংলগ্ন ১টি স্লাইজ গেট দিয়ে লবণ পানি উত্তলন করতে নাপারে সে জন্য মোট ৪টি স্লাইজ গেট তালা বদ্ধো করে দেওয়া হয়েছে।