নড়াইল অফিস :
নড়াইল মহরের অদুরেই ৫ একর জমিতে বরইসহ বিভিন্নি প্রজাকির মিশ্র ফল চাষ করে সফল হয়েছেন চাষী মোঃ জিয়াউর রহমান জামি। ইতোমধ্যে বাগান জুড়ে বামপার ফলন হয়েছে বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির বরইর। পাকতে শুরু করেছে এসব বরই, পাকা বরই বাজারজাত করেছেন তিনি। এ বছর প্রথম গাছে বরই ধরতে শুরু করেছে।
নড়াইল জেলা শহর থেকে ৩ কিলোমিটার দুরে নড়াইল যশোহর মহাসড়কে পাশে বাসভিটা গ্রামে গড়ে উঠেছে জিল্লু এন্ড জামি কম্বাইন্ড এগ্রো ফার্ম । ২ বছর আগে শখ এবং স্বপ্ন পূরণ করতে শুরু করেন সুমিষ্ট কাশ্মীরি আপেল কুলসহ নানা জাতের টক মিষ্টি কুল ও পাকিস্থানী কমলা মালটাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের বাগান, ফুলে ফলে সজ্জিত এ খামার ।
চাষি মোঃ জিয়াউর রহমান জামি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহব্বানে সাড়া দিয়ে একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার প্রত্যয় নিয়ে তিনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বরই চাষ শুরু করেন। ভালো ফলন দেখে ১ বছর আগে ২ শতাধীক বিদেশী বরইর চারা রোপন করেন। এ বছর ১০০ টি বরই গাছে বরই ফল ধরেছে, বাজারের চাহিদা অনুযায়ী দেড় থেকে দুই লক্ষাধিক টাকার বরই বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী । আগামিতে সব গাছে বরই ধরতে শুরু করলে ৩/৪ লক্ষাধীক টাকা বিক্রয় হবে বলে আশা করছেন । এই খামারে ফুল চাষ, মাছ চাষ , গরু পালন, ছাগল পালন ,হাস- মুরগি, বিদেশী জাাতের বিভিন্ন প্রজাতির পায়রা, অস্ট্রেলিয়ান ঘুঘু পালনসহ , চারা উৎপাদন করে বিক্রয় করে থাকেন।
উদ্যোক্তা মেঃ জিয়াউর রহমান জামী বলেন, করোনাকালিন সময়ে প্রায় ২০ টা পরিবার এই খামারে কাজ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করেছেন। এখানে সবসময় একজন কেয়ারটেকার থাকেন যাকে প্রতিমাসে দশ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হয়।
এই উদ্যোক্তা জানান করোনাকালিন সময়ে একটু সমস্যা হলেও তিনি দমে যাননি প্রতিনিয়ত এখানে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আরও বেশি উৎপাদনে যেতে চান সেজন্য সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন।
নড়াইল সদরের কুষি অফিসার মোঃ জাহিদুর ইসলাম বিশ্বাস বলেন, মোঃ জিয়াউর রহমান জামির এই পদক্ষেপ সময় উপযোগী আশা করি আগামীতে আরো ভালো করবে আমি প্রযোজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসছি আগামিতেও অব্যহত রাখবো।
s