নড়াইল প্রতিনিধি:
বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে নড়াইলে ১০১ জন শিশুশিল্পী এবং দুইজন গুণী শিল্পীকে সম্মাননা দেয়া হয়েছে। চারুকানন আর্ট গ্যালারি চত্বরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দুইজন গুণী শিল্পী হলেন,খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান(অব) চিত্রশিল্পী বিমানেশ বিশ্বাস এবং যশোর চারুপীঠ আর্ট রিচার্স ইনস্টিটিউট এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ চিত্রশিল্পী মাহুবুব জামাল শামীম।
অণুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো.রবিউল ইসলাম। অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন,শিল্পী বিমানেশ বিশ্বাস,শিল্পী মাহাবুব জামাল শামিম,সাহিত্যিক সুভাষ বিশ্বাস,সাংবাদিক কার্ত্তিক দাস,সিটি কলেজের সহকারি অধ্যাপক মো.মাহাবুবুর রহমান লিটু। স্বাগত বক্তব্য দেন নড়াইল চারুকাননের পরিচালক চিত্রশিল্পী সমীর বৈরাগী।
বক্তব্যে চিত্রশিল্পী বিমানেশ বিশ্বাস বলেন,সুলতানের পরবর্তী প্রজন্ম বর্তমানে বিদ্যমান। চারুকলাকে তিনি আর্ন্তজাতিক ভাষা হিসেবে স্বকৃতি দেয়ার দাবি করেন। এক শ্রেণীর বধির জনগোষ্ঠীর ভাষা এইটি। যা সাধারণ মানুষ বুঝতে চায় না। তিনি বলেন,গুরুর (শিল্পী সুলতান) হাজার হাজার শিষ্য তৈরি হয়েছে। এ প্রজন্মের শিশুরা দুই হাজার ফুট প্যানা ছবি একেছে। খুব তাড়াতাড়ি এ ছবি ওয়েবসাইটে যাবে।
চিত্রশিল্পী শামীম বলেন,শিল্পীদের শরীরটা মারা যায়। মনটা কখনই মারা যায় না। তিনি মনে করেন,আস্তে আস্তে নগর এগোচ্চে আর প্রকৃতি পেচ্ছাছে। এমনটি চলতে থাকলে শ্বাস নিতে প্রচন্ড কষ্ট হবে। তিনি বলেন, সুলতানের মত একজন শিল্পী নড়াইলের মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিধায় এখানে ঘরে ঘরে শিশুশিল্পীর জন্ম হচ্ছে।
অধ্যক্ষ মো.রবিউল ইসলাম বলেন,সুলতানকে নিয়ে বাঙালি জাতি আজ গর্ববোধ করে। তার তুলির আচড়ে পেশী বহুল সুস্থ্যসবল কৃষকের ছবি ফুটে ওঠায় সাড়া বিশ্বে আলোড়ন পড়েছিল। বাংলা দেশকে চিনতে পেরেছিল। তার মত করে এখন আর কাউকে ছবি আকতে দেখিনা। নৌকার মাঝিরা এখন আর ভাটিয়ালি গান গায় না< কৃষখদের লাঙ্গল গরু নিয়ে জমি চাষ করতে দেখি না। নববধূকে পালকিতে চড়ে শ্বশুড়ালয়ে যেতে দেখি না। তিনি বলেন,শিশুরাই আগামি দিনের ভবিষ্যত।এখন থেকেই তাদের মধ্যে বাঙালিত্ব শেখানেোর আহবান জানান। পরে শিশুদের ১০১টি চিত্রকর্মের উদ্বোধন করা হয়। #