হোম খুলনানড়াইল নড়াইলে নবান্ন উৎসবে বাহারী শত পিঠার মেলা

নড়াইল অফিস:

চিতই,পুলি,রসচিতই,রসপাকান,তালের পিঠা,তালবড়া,পাটিসাপটা,ভাপাপুলি আরো নাম না জানা শত ধরনের পিঠা নিয়ে নড়াইলের নন্দন কাননে জমে উঠেছে পিঠা উৎসব। রঙ্গীন শাড়ি পরে রমনীরা এসছেন হাতে তৈরী পিঠা নিয়ে। শুক্রবার (১৫ডিসেম্বর) দিনব্যাপি নড়াইল শহরতলীর ধোপাখোলা গ্রামে শুরু হয় পিঠা উৎসব।

নড়াইলের ধোপাখোলা গ্রাম। আজকের দিনটা অন্যরকম গ্রামের নারীদের কাছে। রাতজেগে নারীরা তৈরী করেছেন নানা ধরনের পিঠা। সকালে তাই নিয়ে হাজির হয়েছেন উৎসবে। গ্রামে প্রতিবছরই বসে পিঠা মেলা। নবান্ন উৎসবের মধ্যে নিজের হাতে তৈরী পিঠা নিয়ে আসছেন গ্রামের নারীরা। হাতে করে দলে দলে পিঠা নিয়ে আসছেন নন্দন কাননে।

৪টি দলে বিভক্ত হয়ে স্থানীয় ৪০জন মহিলা এ পিঠা উংসবে অংশগ্রহন করেন। সকাল ১০টায় অতিথিবৃন্দ মোমবাতি ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সুভ সূচনা করেন। পরে এ উপলক্ষে নন্দন কাননের সভাপতি ডাঃ মায়া রাণীর সভাপতিত্বে এক আলোচনা হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন প্রফেসর রবিউল ইসলাম, জাটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান লিটু, লেখক ও সাহিত্যিক সুবাস চন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ।

মেলার পাশেই বসেছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,সেখানে নারীরা নিজেদের মতো করে অনুষ্ঠানে মেতেছেন। নিজেদের হাতে তৈরী পিঠা খাওয়াবেন আগত অতিথিদের। মঙ্গল দীপ জ্বালিয়ে শুরু হয় মুল উৎসবের। অতিথিরা নবান্ন এর কথা বলেন,শোনান নতুন ধানের পিঠার গল্প।

নন্দন কানন সাংস্কৃতিস সংগঠন পরিচালনা করেন ডা.মায়া রানী বিশ্বাস। তিনি বাঙ্গালী সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতে কয়েক বছর আগে উদ্যোগ নেন নবান্ন উৎসব আয়োজনের। গ্রামের নারীদের উদ্বুদ্ধ করেন।

ডা.মায়া রানী বিশ্বাস বলেন,এটা শহুরে ভাড়া করা নারীদের দিয়ে পিঠা উৎসব নয়,গ্রামের মেয়েরা নিজেদের খরচে ইচ্ছামতো পিঠা তৈরী করছেন। এটা বাঙ্গালী সংস্কৃতির অংশ। আমরা এটাকে সবখানে ছড়িয়েয় দিতে চাই।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন