হোম অন্যান্যসারাদেশ নড়াইলের কবরস্থান নাগরিক কমিটি পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে

নড়াইল প্রতিনিধি :

গভীর রাতে নড়াইল পৌরসভা কেন্দ্রীয় গোরস্থান ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ এনে নাগরিক কমিটি কবরস্থান পরিচালনা করবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। নড়াইল রেড ক্রিসেন্ট ভবনে আয়োজিত নাগরিক কমিটি এক সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘোষণা দেয়া হয়। সম্প্রতি (১ জুন) রেড ক্রিসেন্ট ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সম্মেলনে নাগরিক কমিটির আহবায়ক কৌশুলী হেমায়েত উল্লাহ হিরুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য দেন,রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক কাজী ইসমাইল হোসেন লিটন,ঠিকাদার আব্দুল মুকিত লাবলু,ঠিকাদার রেজাউল আলম প্রমুখ।

নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,পৌর মেয়র মানুষের আবেগের জায়গা গুড়িয়ে দিয়ে অমানবিক অন্যায় করেছেন। এ অন্যায়ের চরম মূল্য তাকে দিতে হবে।

তারা দাবি করেন, যে স্থানের কোন বৈধ কাগজপত্র পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে নেই সেই স্থানের নেতৃত্বে পৌর কর্তপক্ষ থাকতে পারবে না। এখন থেকে নাগরিক কমিটি এই পৌর গোরস্থানের দায়িত্ব নিয়ে সকল প্রকার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করবে। এ জন্য প্রশাসনের সকল প্রকার সহযোগিতা কামনা করা হয়।

সরেজমিন দেখা গেছে,স্বজনরা নিজ নিজ দায়িত্বে কবর সমূহের স্থান চিহ্নিত করে নাম ফলক লাগাচ্ছেন। ইতোমধ্যে ৩০০ কবরের নামফলক লাগানো হয়েছে।

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে,নড়াইল পৌর এলাকার নড়াইল-যশোর সড়কের আলাদাতপুর এলাকায় এক দশমিক ৭৩ শতাংশ একর জমির ওপর কবরস্থানটি স্থাপিত। এখানে ২১২টি কবর বাধানো এবং আরো শতাধিক বাশের চটা দিয়ে কবরের সীমানা নির্ধারণ করা ছিল। কোভিড-১৯ প্রকল্পের আওতায় কবরস্থান সংস্কারসহ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের জন্য ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়। এরই অংশ হিসেবে গত ২২মে বাধাই কবরস্থান ভেঙ্গে ফেলা হয়। যে কারণে পৌর মেয়র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচিত হন। ফূসে ওঠেন পৌরবাসি।

জানতে চাইলে নড়াইল পৌর মেয়র আনজুমান আরা বলেন,কবরস্থানের জমি স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যক্তিদের দান করা। হাল রেকড পৌর সভার নামে হয়েছে। পৌলসভা খাজনাও পরিশোধ করছে। তিনি বলেন,কবরস্থানের বেশিরভাগ জায়গা বাধাইয়ের কারণে কবরস্থানের পরিধি ছোট হয়ে আসছে। তিনি দাবি করেন কয়েক বছর পর কোন মৃত ব্যক্তিকে গোরস্থানে দাফন করা সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন,প্রকল্পের নিয়মানুযায়ী সবকিছু করা হচ্ছে। তিনি মনে করেন নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ সঠিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না। উন্নয়ন কাজের বিরোধিতা করছেন। আমি দলীয় নেতৃবৃন্দকে বিষয়টি জানিয়েছি। এ ব্যাপারে পৌর পরিষদের সদস্যদের নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। তিনি দাবি করেন,উন্নয়ন কাজে সুবিধার্থে বিষয়টি মীমাংশার জন্য নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ অনুরোধ করেছিলাম। ১ জুন বিকেলে পৌর কার্যালয়ে সভা আহবান করা হয়েছিল। কিন্তু নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হননি।

নাগরিক কমিটির আহবায়ক হেমায়েত উল্লাহ হিরু বলেন নাগরিক কমিটির সংবাদ সম্মেলনের যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা পৌর মেয়রকে জানানো হয়েছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,নাগরিক কমিটি রেজিষ্টার নিয়ন্ত্রণ করবে এবং প্রয়োজনে মৃত সনদপ্রদান করা হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন