জাতীয় ডেস্ক:
অবৈধ ঘোষণার চার ঘণ্টা পর বৈধ করা হয় গাইবান্ধা-৪ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের মনোনয়নপত্র। এ সময় রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুলকে বলতে শোনা যায়: ‘আমাদের মো. আবুল কালাম আজাদ’। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। সরকারের উচ্চপর্যায়ের আমলারা বলছেন, এমনটি বলা সম্পূর্ণ অবৈধ। অন্যদিকে স্থানীয় প্রশাসন বলছে এ ধরনের কোনো শব্দ ব্যবহার হয়নি।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সময় টেলিভিশনের হাতে আসা এক ভিডিও ফুটেজে কাজী নাহিদ রসুলকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের আবুল কালাম আজাদ নিয়মানুযায়ী হলফনামা দাখিল করেছেন, তা গ্রহণ করা হলো এবং সেখানে কোনো ধরনের ব্যত্যয় না থাকায় তা বৈধ করা হয়েছে।’ এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে তার এমন কথা। এরপর থেকেই চলছে নানা বিতর্ক।
এর আগে ৩ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ে হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্য ও কাগজপত্রের গরমিল থাকায় আবুল কালাম আজাদের মনোনয়নপত্র স্থগিতের ঘোষণা দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। ওইদিনই প্রায় ৪ ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সংশোধনের আবেদন করে সঠিকভাবে হলফনামা জমা দেন আবুল কালাম আজাদ। তখনই এ মন্তব্য করেন কাজী নাহিদ রসুল।
রিটার্নিং অফিসার কোনো প্রার্থীকে আমাদের বলতে পারেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার সময় সংবাদকে বলেন, ‘ডিসি একক কোনো প্রার্থীকে আমাদের বলতে পারেন না, এটি সম্পূর্ণ অবৈধ। কেননা, এতে পক্ষপাতিত্বের বিষয়টি চলে আসে।’
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিষয়টি অবগত। ডিসির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। জানতে পেরেছি ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি এডিট করা। কোনো একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এমনটি করেছে। সব বিষয় জেনে আমরা আইনানুযায়ী নির্দেশনা দিয়েছি গাইবান্ধার ডিসিকে।’
এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী নাহিদ রসুলের বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, আবুল কালাম আজাদ গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য (এমপি) প্রার্থী। তিনি ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আসনটিতে এমপি নির্বাচিত হন।