জাতীয় ডেস্ক:
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচনী কর্মকর্তারা যাতে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেন সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
ইসি আলমগীর বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেহেতু কয়েকটি রাজনৈতিক দল আসছে না, সেহেতু চ্যালেঞ্জ আছে। তবে আমরা এগুলো নিয়ে চিন্তিত না। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার যে চ্যালেঞ্জ আছে সেগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের জানিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রচারণা নিয়ে বিকেলে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আশঙ্কার কথা জানান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তারা নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারবেন।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে ঢাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।
বৈঠকে আরও ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, বিজিবি ঢাকা সেক্টর কমান্ডারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এ সময় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিজেদের কর্মপরিকল্পনা কমিশনের কাছে তুলে ধরেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষবাহিনীর কর্মকর্তারা।
১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচারণা চালাতে পারবেন তারা। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।
যাচাই-বাছাই ও আপিল নিষ্পত্তি শেষে ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানায়, ২৭ রাজনৈতিক দলের মোট ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন।