হোম অন্যান্যস্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে আসছে না খুলনাঞ্চলের ডেঙ্গু পরিস্থিতি

স্বাস্থ্য ডেস্ক:

কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না খুলনা অঞ্চলের ডেঙ্গু পরিস্থিতি। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে দাপট দেখানো ডেঙ্গু খুলনা বিভাগে রোগী ছাড়িয়েছে দুই হাজার। বিভাগ জুড়ে দাপট দেখানো ডেঙ্গু সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন জেলায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন আরও ১১৯ রোগী। খুলনা, যশোর ও মাগুরা জেলায় বেশি রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে হাসপাতালগুলোর প্রস্তুতির কথা জানিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ স্বাস্থ্য বিভাগের।

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে খুলনা বিভাগের প্রতিনিয়ত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। বিভাগে প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছেন শতাধিক রোগী। বর্তমানে বিভাগের ১০ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩৭৪ জন রোগী। এর মধ্যে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি হয়েছেন ১১৯ রোগী।

ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যায় প্রতিদিনই যেন বিভাগের এক জেলা অন্য জেলার সাথে প্রতিযোগিতা করছে।

সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবথেকে বেশি ২৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছে খুলনায়। এছাড়া মাগুরায় ২৬, যশোরে ২৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সবশেষ এক সপ্তাহের হিসেবে বিভাগে সব থেকে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে যশোরে ১৫০ জন। এছাড়া গেলো সপ্তাহে খুলনায় ১৩৮ জন, মাগুরায় ১৩০ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে খুলনা বিভাগের সব থেকে বেশি রোগী ভর্তি আছে খুলনায়। জেলার বিভিন্ন হাসপতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৯১ জন রোগী। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৪ জন রোগী ভর্তি আছেন যশোরের বিভিন্ন হাসপাতালে। এছাড়া মাগুরায় ৫৭ জন, বাগেরহাটে ৪৬ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

রোগীদের অধিকাংশই খুলনার বিভিন্ন উপজেলা ও পাশের জেলা থেকে এসেছেন। হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ ওয়ার্ডেও ডেঙ্গু কর্নারে মশারি টানিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা।

এদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিভিন্ন প্রস্তুতির কথা জানিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. নিয়াজ মুস্তাফি চৌধুরী বলেন, সারা বাংলাদেশে যেভাবে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে খুলনাও তার ব্যতিক্রম নয়। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এরই মধ্যে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ডেঙ্গু কর্ণারও খোলা হয়েছে। কোন রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ হলে তার জন্য বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। তবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে শুধুমাত্র হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ওপর ভরসা না করে সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।

তিনি বলেন, আমাদের নিজেদেরই সচেতন হতে হবে। আমাদের নিজেদের বাড়ির আঙিনা, ছাদ, ঝোঁপ সব নিজেদের উদ্যোগেই পরিষ্কার করতে হবে।

চলতি বছর এখনও পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ২ হাজার ২’শ ৫৮ জন। খুলনা বিভাগে চলতি বছর এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৬ জন মারা গেছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন