বাণিজ্য ডেস্ক :
আসছে জাতীয় বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন করে শিক্ষা কমিশন গঠনের ঘোষণা চান অর্থনীতিবিদরা।
এ ছাড়াও দক্ষ জনবল গড়ে তোলা ও রফতানিতে বাড়তি মনোযোগের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন অর্থনীতিবিদরা। একই সঙ্গে আয়বৈষম্য ও মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার স্পষ্ট রূপরেখাসহ বর্তমান আকারের চেয়ে দেড় থেকে দুই গুণ বড় বাজেটের তাগিদ তাদের।
মঙ্গলবার (১৭ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক অনুষদ মিলনায়তনে সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসি আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় এসব বিষয়ে গুরুত্ব তুলে ধরেন তারা।
আগামী মাসে ঘোষণা হবে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট। এ বাজেটে কোন কোন খাতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত, তা তুলে ধরতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাক-বাজেট আলোচনার আয়োজন করে সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসি।
মূল প্রবন্ধে উঠে আসে এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, করোনার সংকট কাটিয়ে ওঠা, বৈষম্য নিরসনে উদ্যোগ নেওয়া, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব মোকাবিলায় কৌশলী হওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে মুনশিয়ানা দেখাতে হবে সরকারকে।
গবেষণাসহ শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাতের প্রয়োজন মেটাতে বাজেটের আকার দেড় থেকে দ্বিগুণ করার বিকল্প নেই বলে যুক্তি তুলে ধরেন আলোচকরা। সঠিক তথ্য সংগ্রহ ও তার ভিত্তিতে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের তাগিদ দেন তারা।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, সময়মতো বাজেট বাস্তবায়ন না হওয়া মানে অভাব রয়েছে সুশাসনের।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামের লাগাম টানতে করছাড় দেওয়ার উপায় বের করতেও পরামর্শ দেওয়া হয় এ আলোচনায়।